এটাই স্বাভাবিক যে বয়স্ক মানুষের হার্ট অ্যাটাক বেশি হয়। বিশেষ করে বয়স যাদের ৫০ পেরিয়েছে তারা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকেন। তবে পরিস্থিতি যেন বদলেছে। চল্লিশও পেরোয়নি এমন মানুষের হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা অহরহ ঘটে যাচ্ছে। গত দশ বছর ধরে অপেক্ষাকৃত কম বয়সীদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা প্রতিবছর ২ শতাংশ হারে বেড়েছে। এর পেছনে নিশ্চয়ই কোনো কারণ আছে। নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এক বিশেষ জেনেটিক ব্যধি ‘হাইপারকোলেস্টেরোলেমিয়া (এফএইচ)’ এর কারণে হয়ে থাকে। এই রোগ সাধারণত উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরলের জন্য হয়ে থাকে।
যারা ৫০ এর আগেই হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন তাদের ১০ শতাংশেরই এফএইচ রয়েছে। আর প্রথম হার্ট অ্যাটাকের এক বছর বাদে তাদের কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে থাকে।
আমেরিকার ব্রিগহ্যাম অ্যান্ড ওমেন্স হসপিটালের একদল বিশেষজ্ঞের গবেষণায় এসব তথ্য দেয়া হয়েছে। এ গবেষণার মাধ্যমে তরুণরা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি থেকে দূরে থাকতে পারবেন। এর আগের গবেষণায় বলা হয়েছিল, এফএইচ পরীক্ষার আড়ালেই থাকে এবং এর চিকিৎসাও দেয়া হয় না।
গবেষক দল দেখেছেন, এফএইচে আক্রান্ত ৫০ শতাংশ রোগী হার্ট অ্যাটাকের আগে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ সংশ্লিষ্ট থেরাপি নেন। আবার অনেক হার্ট অ্যাটাকের শিকার হয়েও এ নিয়ে তেমন সচেতন থাকেন না।
বিশেষজ্ঞরা ব্রিগহ্যাম এবং ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হসপিটাল থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেন। যে রোগীদের তথ্য নেয়া হয়ে তাদের সবাই ২০০০ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের শিকার হয়েছিলেন ৫০ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই। আর তরুণদের প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজনেরই এফএইচ সমস্যা রয়েছে।
এফএইচ রোগীদের দেহে গড়ে ১৮০ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার ক্ষতিকর এলডিএল কোলেস্টেরল থাকে। প্রথম হার্ট অ্যাটাকের পর অর্ধকের মতো এফএইচ রোগীদের হাই-ডেনসিটি স্ট্যাটিন থেরাপির পরামর্শ দেয়া হয়। এই থেরাপির মাধ্যমে ক্ষতিকর ফ্যাটের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। অধিকাংশেরই হার্ট অ্যাটাকের এক বছর পর দেহে উচ্চমাত্রায় কোলেস্টেরল বিরাজ করে।
সূত্র: নোরিজ