Monday , 23 December 2024
সংবাদ শিরোনাম

‘এমন বাবার জন্য আমরা কাঁদবো না’

দুই মেয়ে রাবিয়াহ ও আরিশাকে নিয়ে অবশেষে নিউ ইয়র্কেই চলে যেতে বাধ্য হলেন ‘রং নাম্বার’ খ্যাত এক সময়ের তারকা অভিনেত্রী ইপসিতা শবনম শ্রাবন্তী। শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি বাংলাদেশ ত্যাগ করেন। বিমান বন্দরে শ্রাবন্তী ও তার দুই মেয়েকে বিদায় দেন নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী।

শ্রাবন্তীকে তালাক নোটিশ পাঠিয়েছিলেন তার স্বামী মোহাম্মদ খোরশেদ আলম। সেই নোটিশ পেয়ে সংসার টিকিয়ে রাখার অনেক চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয়েছেন এ অভিনেত্রী। গত ৭ মে শ্রাবন্তীকে তালাকের নোটিশ পাঠান তার স্বামী খোরশেদ আলম। এরপর গত ২৫ জুন দুই মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরেন এক সময়ের এই অভিনেত্রী। মনে কষ্ট পুষে রেখেই দুই মেয়েকে নিয়ে নিউ ইয়র্কে ফিরে গেছেন শ্রাবন্তী।

চেষ্টা করেছিলেন স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের, আপোষ-মীমাংসার। কিন্তু তার স্বামীর পক্ষ থেকে কোনো রকম গ্রিন সিগন্যাল মেলেনি। এদিকে মেয়েদের স্কুল খুলছে। তাই বাধ্য হয়েই গেল শুক্রবার সন্ধ্যায় এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজে নিউইয়র্কে ফিরে যান শ্রাবন্তী।

নিউইয়র্কে ফিরে গিয়ে শ্রাবন্তী ফেসবুকে লিখেছেন, সুন্দরভাবে পৌঁছালাম। এখানে ভালোই ঠাণ্ডা। আমার দুই মেয়ে মহা খুশি। ওদের স্কুল শুরু হবে। স্কুলে যাবে। নতুন জীবন, দুনিয়া। সবাই আমার আর আমার দুই মেয়ের জন্য দোয়া করবেন। আর কোনো ঝড় যেন আমাদের তিনজনকে ভেঙে মুচড়ে দিতে না পারে। বয়স তো কম হলো না। এখন আমি মা হিসেবে মাথা নষ্ট করে দুটি বাচ্চার লাইফ শেষ করে দিতে পারি না। অনেক কষ্ট করেছে ওরা বাবাকে কাছে পেতে। অনেক কষ্ট পেয়েছে। কিন্তু ওরা নিজেরাই এখন ক্লান্ত।’

তিনি লিখেছেন, ছোট ছোট দুটি বাচ্চার বিবেক আর বুদ্ধির কাছে আমি হেরে গেছি। ওদের মন খারাপ হয়, কিন্তু বুঝতে দেয় না। উল্টো আমাকে বলছে স্ট্রং হতে। এমন বাবার জন্য আমরাও কাঁদবো না, তুমিও কাঁদবে না মা- এটা আমার রাবিহা (বড় মেয়ে) আমাকে বলে।

মোহাম্মদ খোরশেদ আলম তালাকের নোটিশ পাঠিয়েছিলেন শ্রাবন্তীকে। ঢাকার পারিবারিক আদালতের বিচারক দ্বিতীয় অতিরিক্ত সহকারী জজ ইশরাত জাহান সেই নোটিশে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। যদি শ্রাবন্তীর সঙ্গে আর সংসার করতে না চান, তাহলে তার স্বামীকে আবার নতুন করে আইন অনুযায়ী যথাযথভাবে তালাকের নোটিশ পাঠাতে হবে। তবে নিউইয়র্কে ফিরে যাওয়ার আগে মোহাম্মদ খোরশেদ আলম তার স্ত্রী কিংবা দুই মেয়ের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেননি।

তাই স্বামীকে ফিরে পাওয়ার আশা এখনও দেখছেন শ্রাবন্তী। তিনি দেশ ছাড়ার আগে পরিচালক চয়নিকা চৌধুরীকে বলে যান, আলম যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন কার্ড পেয়েছেন। এই গ্রিন কার্ডকে অকার্যকর করার জন্য আমি কোনো ব্যবস্থা নেব না। আলম আমার সন্তানদের বাবা। যদি কোনো দিন তাঁর ভুল ভাঙে, ও আবার সন্তানদের কাছে ফিরে আসে। সেই দিনটির জন্য আমি অপেক্ষা করব।

Share!

About newsfair

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top