সুসু? দ্যাট’স আ কুল নেম’– ‘লাভযাত্রী’তে মুখ্য চরিত্রকে এই নামেই ডাকে। এটা ভাবার কোনো কারণ নেই যে এই শব্দটা বলার মধ্যে আলাদা কোনো হিউমার রয়েছে। শব্দটা দর্শকের মধ্যে একটা চাপা হাসির উদ্রেক করে। কিন্ডারগার্ডেনে পড়া একটা বাচ্চাও এর অর্থ বুঝতে পারে। একটা হিরো যে ছবিতে অভিষেক করছেন, তাকে সোজাসুজি বলতে গেলে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। এটা কি নির্মাতারা ভেবেছিলেন? কোথায় ছিলেন তাঁরা?
সুশ্রুত ওরফে সুসু (আয়ুশ শর্মা) বরোদার ছেলে, যার স্বপ্ন নিজের গরবা স্কুল খোলার। সুন্দরী এনআরআই মিশেল ওরফে মনীষা (ওয়ারিনা হুসেন)-এর প্রেমে পড়ে সে। আর আবার শুরু হয় সেই বস্তাপচা আখ্যান- এক দরিদ্র অমায়িক ছেলে আর এক ধনী উচ্চাকাঙ্ক্ষী মেয়ে। যারা প্রায় আড়াই ঘণ্টার দুঃখের ক্লিশে গাথার মধ্যে দিয়ে মিলিত হয়। আসলে হলে বসে যখন সময়টা কাটাবার বাহানা খুঁজছেন এবং ঢিমেতালে নিজের ওপরে হওয়া নির্যাতন সহ্য করছেন, তখন মনে একটাই প্রশ্ন আসে মুখ্য চরিত্রে অভিনীত মানুষটি যদি সালমান খানের বোন-জামাই না হতো, তাহলে কি পুরো ছবিটা শুধুমাত্র তাঁকে লঞ্চ করার জন্য তৈরি হতো?
বোকা বোকা প্রশ্ন; কিন্তু এর থেকে বেশি আর কি আশা করা যায় যখন একটা ছবি বোকামিতে মোড়া। এমনকি রনিত রায় (ছবিতে মেয়ের বাবা যে ছেলেটার সাহসকে ঘৃণা করে) ও রাম কাপুরের (ছেলেটার কাকা যিনি মনে করেন সিনেমা দেখে প্রত্যেক ভারতীয় রোমান্স শেখা প্রয়োজন) মতো পোড়খাওয়া অভিনেতারাও কেমন ফিকে পড়ে গেছেন। বাকি প্রশ্নগুলো তো চরিত্রগুলোর আশেপাশে ঘুরছে!