জনগণ তিন সিটি নির্বাচনে সরকারি দলের সীমাহীন ভোট কারচুপি ও জবরদখল দেখেছে। এই সরকার এবং নির্বাচন কমিশন আবারও প্রমাণ করেছে তাদের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকায় বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতাকালে এ মন্তব্য করেন দলের মহাসচিব এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি দাবি করেন, সিলেটেও ব্যাপক ভোট কারচুপি হয়েছে। তা না হলে আরিফুল হক চৌধুরী লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হতেন। আবারও প্রমাণ হলো বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। আমরা রাজশাহী ও বরিশালের ভোটের ফলাফল ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। কারণ, এটা কোনো নির্বাচনই হয়নি। ভোট চুরি নয়, ডাকাতি প্রতিফলিত হয়েছে। সেখানে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি। ভোট কারচুপির প্রতিবাদে আগামী বৃহস্পতিবার সারাদেশের জেলা ও মহানগরে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সোমবার রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট এই তিনটি সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচনের নাটক শেষ হলো। এই নির্বাচনে আমাদের কথাই সত্য প্রমাণিত হলো, শেখ হাসিনার অবৈধ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু ও অবাধ হতে পারে না। প্রমাণিত হলো এই অযোগ্য নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় কোনো নির্বাচনেই জনগণের রায়ের প্রতিফলন ঘটানো সম্ভব নয়।
তিনি আরো বলেন, এই নির্বাচন কমিশন পুলিশের মতোই আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের জয়ী করার জন্য নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে। শুধু নির্বাচনের দিনে নয়, শিডিউল ঘোষণার দিন থেকেই পুলিশের বিশেষ স্কোয়াড মাঠে নেমেছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ।