গত জানুয়ারিতে সর্বশেষ জাতীয় দলের জার্সি চাপিয়েছিলেন গায়ে। শ্রীলঙ্কা আর জিম্বাবুয়েকে নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ খুব একটা ভালো কাটেনি। দীর্ঘ ৭ মাস পর দেশের বাইরে ওয়ানডে খেলতে নামলেন। এমন একটা সময়, যখন জিততে ভুলে গেছে বাংলাদেশ। ক্যারিবীয়দের কাছে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে। মুমুর্ষু দলটির দরকার ছিল একটু অক্সিজেন। ব্যাটে-বলে-নেতৃত্বে-অনুপ্রেরণায় সেই অক্সিজেন দিয়ে গেলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।
প্রথম ওয়ানডেতে বল হাতে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। ক্যারিবীয়দের একাই ধসিয়ে দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিলেন, এই বয়সেও তিনিই বাংলাদেশের সেরা পেসার। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে অমন হারের পর দলের মনোবল চাঙ্গা রাখাটা খুব জরুরি ছিল। যেটা মাশরাফির চেয়ে ভালো কেউ পারে না। দলকে চাঙ্গা রেখেছিলেন, এক সুঁতায় বেঁধেছিলেন এবং সিরিজ জয়ের চ্যালেঞ্জটা মাথায় গেঁথে দিয়েছিলেন। এতেই এল ১৮ রানের জয়।
সেঞ্চুরিয়ান তামিম ইকবাল আউট হওয়ার পর দলের রানরেট বাড়ানোর দরকার ছিল। কোচকে বলে তিনি নিজেই নেমে পড়লেন ব্যাট হাতে! ৬ নম্বরে নেমে আবারও দেখালেন, ইনজুরি আক্রমণ না করলে তিনিই হতে পারতেন বিশ্বের সেরা পেস বোলিং অল-রাউন্ডার। ২৫ বলে ৪ চার ১ ছক্কায় খেললেন ৩৬ রানের ইনিংস। ঝড়ো ব্যাটিং করলেন রিয়াদ। কিন্তু মাশরাফির ওই একটি সিদ্ধান্তে দলের স্কোর তিনশ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এই না হলে নেতৃত্ব!
দলের অক্সিজেন দরকার ছিল, সিরিজ জয় উপহার দিয়ে এখন দেশে ফিরে আসার পথে মাশরাফি। থেকে যাবে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন টি-টোয়েন্টি দল। ক্রিকেটের এই ক্ষুদ্র ফরম্যাটে ক্যারিবীয়রা কিন্তু বিশ্বসেরা। সাকিবরা কি পারবে ওয়ানডে থেকে পাওয়া অক্সিজেন দিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও দাপট দেখাতে?