‘ফরাসি বিপ্লব’ নাকি ‘বেলজিয়াম রুপকথা’। কোনটি হবে আজ তা সময়ই বলে দেবে। তবে পরিসংখ্যান বলছে বিশ্বকাপের আসরে দ্বিতীয়বার সেমিফাইনাল খেলতে নামা বেলজিয়ামের থেকে এগিয়ে রয়েছে ৯৮’র বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স।
মূলত অভিজ্ঞতায় এগিয়ে রয়েছে ফ্রান্স। বড় মঞ্চে খেলার অভিজ্ঞতায় অ্যাডভান্টেজ পাবে ফ্রান্স। দুবছর আগে ইউরো ফাইনাল খেলা টিমের পাঁচ জন রয়েছে ২০১৮ বিশ্বকাপ দলে। সেমি ফাইনাল-ফাইনালের মতো মঞ্চে স্নায়ুর চাপ ধরে রাখাটা ভালই জানেন জিরুড-উমতিতি-হুগো লরিসরা। এই নিয়ে ষষ্ঠ সেমি ফাইনাল খেলতে নামছে ফ্রান্স। শেষ ২০০৬ সালে বিশ্বকাপ সেমি ফাইনাল খেলেছিল ফরাসিরা। সেবার অবশ্য ফাইনালের মঞ্চে টাইব্রেকার জিদানদের হারতে হয়।
বেলজিয়ামের সঙ্গে শেষ তিন সাক্ষাতে দুবারই জয়ের মুখ দেখেছে ফ্রান্স। সেটা অবশ্য অনেক আগে। বিশ্বকাপ মঞ্চে শেষবার ১৯৮৬ সালে ফ্রান্সের মুখোমুখি হয়েছিল বেলজিয়াম। মেক্সিকো বিশ্বকাপে সেবার তৃতীয় স্থান নির্ণায়ক ম্যাচে বেলজিয়ামকে পেনাল্টিতে হারিয়ে তৃতীয় হয়েছিল ফ্রান্স। ঐ বিশ্বকাপেই আর্জেন্টিনার কাছে সেমিফাইনাল হেরেছিল বেলজিয়াম।
তার আগে ফান্স বনাম বেলজিয়াম লড়াই সেই চল্লিশের দশকে। ১৯৩৮ সালে প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে বেলজিয়ামকে ৩-১ হারিয়েছিল ফরাসিরা। এখানেই শেষ নয়, ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের আসরে ফ্রান্সের কাছে ৫ গোলের হারের লজ্জা এখনও বেলজিয়ামের কাছে দুঃস্বপ্নের সমান। ১৯৮৪ সালে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের আসরে সেবার হ্যাটট্রিক করে বেলজিয়ামের পরাজয় নিশ্চিত হয়। বড় মঞ্চে ফ্রান্সের কাছে এই হারের স্মৃতি কাঁটা হতে পারে বেলজিয়ামের জন্য।
চলতি বিশ্বকাপে ফ্রান্সের মতো এখনো পর্যন্ত একটি ম্যাচও হারেনি বেলজিয়াম। প্রি-কোয়ার্টার জাপানের কাছে ০-২ গোলে পিছিয়ে পড়েও ম্যাচ জিতে নেয় তারা। কোয়ার্টারে আবার শক্তিশালী ব্রাজিলের বিরুদ্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে শেষ পর্যন্ত ২-১ ম্যাচ জয়। বেলজিয়ামের অন্যতম শক্তি গতি। শেষ ম্যাচে সেই গতির সামনেই মুখ থুবড়ে পড়েছে ব্রাজিল।
এই দুই দলে আবার তারকার ছড়াছড়ি। ফ্রান্সে জিরুড, গ্রিজমান, এমবাপে, পগবারা যেমন রয়েছেন বেলজিয়ামে তেমনই রয়েছেন লুকাকু, হ্যাজার্ড, ডি ব্রুইনরা। তাই সেমিতে তারকার মেলায় নতুন তারার উত্থানের অপেক্ষায় ফুটবলদুনিয়া।