কোনো যাত্রী যদি টিকিট কেনার পর যাত্রার তারিখ পরিবর্তন করতে চায় সে ক্ষেত্রে নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ১০০ ইউএস ডলার তাকে জরিমানা গুনতে হবে। যেটা গত বছর ছিল না। চলতি বছর এ বিধান নতুন করে আরোপ করা হয়েছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জেনারেল ম্যানেজার (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ নয়া দিগন্তকে এ কথা জানিয়ে গতকাল বলেন, একইভাবে কোনো যাত্রী টিকিট ক্রয় করার পর যে ফ্লাইটে তার ট্রাভেল করার কথা, যদি তিনি ওই তারিখের ফ্লাইটে ট্রাভেল করতে ব্যর্থ হন, তাহলে তাকে আরো ২০০ ইউএস ডলার জরিমানা গুনতে হবে। বিধানগুলো শুধু করা হয়েছে আমাদের কোনো ফ্লাইট যাতে এবার খালি না যায়। কোনো ফ্লাইট যাতে বাতিল না হয়।
শাকিল মেরাজ এ প্রতিবেদককে বলেন, হজফ্লাইট শুরু হতে আর মাত্র এক সপ্তাহ বাকি। এখনো ১৪ হাজারের মতো টিকিট অবিক্রীত রয়েছে। এ নিয়ে বিমান ম্যানেজমেন্ট অনেকটা শঙ্কিত। তিনি বলেন, এ বছর সৌদি সরকার বাড়তি কোনো হজ ফ্লাইটের জন্য স্লট বরাদ্দ দেবে না। গত বছর ২৪টি স্লট বাতিল হয়েছিল। পরে রাষ্ট্রীয়-পর্যায়ে অনেক অনুরোধ করে ২৮টি স্লট আমরা বাড়তি পেয়েছিলাম। যার কারণে সর্বশেষ হজযাত্রীটিকেও আমরা সৌদি আরব পাঠাতে সমর্থ হয়েছিলাম। কিন্তু এ বছর যেহেতু নির্ধারিত স্লটের বাইরে অতিরিক্ত কোনো স্লট সৌদি সিভিল অ্যাভিয়েশন দেবে না, তাই নির্ধারিত স্লটে কোনো ফ্লাইটের যাত্রা বাতিল হলে কিংবা আসন খালি গেলে সে ক্ষেত্রে ওই ফ্লাইটের যেসব যাত্রী থাকার কথা ছিল তাদের হজযাত্রা অনিশ্চিত হয়ে পড়ার আশঙ্কাই বেশি রয়েছে। এ জন্য বিমান থেকে ৫২৮টি হজ এজেন্সিকে তাদের ইউনিয়নের মাধ্যমে ২৪ জুলাই থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত সময়ের মধ্যে যেসব হজফ্লাইট রয়েছে, সেই ফ্লাইটের টিকিট কাটার জন্য বার বার অনুরোধ করা হচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে শাকিল মেরাজ বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টিকিট সংগ্রহে ব্যর্থ হলে এবং বিমানের কোনো ফ্লাইট খালি গেলে পরে যেহেতু স্লট পাওয়া যাবে না সে কারণে ওই ফ্লাইটের যাত্রীদের হজযাত্রার বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে বলে যাত্রীদের সুবিধার্থে আগেভাগেই সতর্ক করা হচ্ছে। পরে কেউ যাতে বিমান কর্তৃপক্ষকে দোষারোপ করতে না পারে। এ বছর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স হজফ্লাইটকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিমানের নিজস্ব চারটি উড়োজাহাজ (বোয়িং-৭৭৭-৩০০ ই-আর) দিয়ে ফ্লাইটগুলো পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আগামী ১৪ জুলাই ৪১৯ জন যাত্রী নিয়ে হজ ফ্লাইট শুরু হচ্ছে। এ দিন থেকে থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত মোট ৩৩ দিনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৬৩ হাজার ৬০০ যাত্রীকে সৌদি আরব নেয়ার ব্যবস্থা করবে। এর জন্য ১৫৫টি ডেডিকেটেড হজফ্লাইটের পাশাপাশি ৩২টি শিডিউল ফ্লাইট পরিচালনা করতে সৌদি আরবের সিভিল এভিয়েশন অথরিটি থেকে যাত্রী পরিবহনের অনুমতি মিলেছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, এ বছর এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৪ বাংলাদেশী পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরবের মক্কায় যাবেন। চাঁদ দেখাসাপেক্ষে আগামী ২০ আগস্ট পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এবারও ঢাকা ছাড়া, চট্টগ্রাম ও সিলেট থেকে হজফ্লাইট জেদ্দার উদ্দেশ ছেড়ে যাবে।