ফ্রান্স বনাম আর্জেন্টিনা ম্যাচ আসলে নানা হিসাব নিকাশ আর আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের সমাহার। আর্জেন্টিনা মানেই লিওনেল মেসি। তাকে আটকে রাখা মানেই নীল-সাদা জার্সিধারী পুরো দলকে বিপদে ফেলা। অন্যদিকে ফ্রান্স মানে নির্দিষ্ট একজন নয়; পল পগবা, আতোয়া গ্রিজম্যান, অলিভার জিহু, উসমান দেম্বেলেরা সবাই। চলতি বিশ্বকাপে বাজে সময় কাটিয়ে এসেছে আর্জন্টিনা। অন্যদের ওপর নির্ভর করেই এসেছে শেষ ষোলোতে। আজ বাংলাদেশ সময় রাত ৮টার ম্যাচ তাই অধিনায়ক মেসির প্রধান লড়াই নিজের সঙ্গেই।
বিশ্বকাপের নকআউটে ওঠার পর আর্জেন্টিনা শিবিরে আবহ বদলে গেছে। মেসিকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন, আরও বড় লক্ষ্যে ছুটে যাওয়ার সঙ্কল্প এখন মাসচেরানো, ডি মারিয়া, ওটামেন্ডি, আগুয়েরোরা দেখছেন। তাই এলএম টেন আর একা থাকছেন না। পাশে পেয়ে যাচ্ছেন ইস্পাত-কঠিন মানসিকতার সতীর্থদের।
অন্যদিকে কীভাবে মেসিকে থামানো যায়, কী ভাবে মেসিকে বল ছাড়া রাখা যায়, সেই ছক তৈরি করছে ফ্রান্স। দুর্দান্ত সব টগবগে তরুণদের নিয়ে গঠিত দিদিয়ের দেশ্যমের দল। তাদের মেসিকে অবশ্য শুধু গোল করলেই চলবে না; হিগুয়েইনদের অজস্র সুযোগ নষ্ট করার কষ্টও মেনে নিতে হবে। রক্ষণের দুর্বলতা সহ্য করতে হবে। ক্রমাগত মিসপাসেও মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে। ফাউলেও ঠান্ডা রাখতে হবে মাথা।
নাইজেরিয়া ম্যাচে শেষ মুহূর্তে হলুদ কার্ড দেখলেও নক-আউটে এই ভুল করা যাবে না। মাথা ঠাণ্ডা রেখে অপেক্ষায় থাকতে হবে সুযোগের। মুহূর্তের ঝলকানিতে দেখিয়ে দিতে হবে নিজের ক্ষমতা। বিদ্যুৎ চমকের মতো চমৎকৃত করতে হবে বিশ্ব ফুটবলকে। কোটি কোটি মেসিভক্ত এই সময়টি দেখার জন্যই অপেক্ষা করে আছে। নাইজেরিয়া ম্যাচে গোল করে তার ইঙ্গিতও দিয়েছেন ফুটবল জাদুকর। আজ নক-আউটের আসল মঞ্চে মেসির সেই জাদু দেখার অপেক্ষায় সবাই।