প্রতিবছরের মতো এবারও ঈদ স্পেশাল ট্রেন (বিশেষ ট্রেন) চালু করছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে প্রতিদিনই ট্রেনযোগে ৭০ হাজার মানুষ রাজধানী ছাড়ছেন। আজ বুধবার সকাল পৌনে ৯টায় দেওয়ানগঞ্জের উদ্দেশে প্রথম বিশেষ ট্রেনটি ছেড়ে যাবে। আর এই ধারাবাহিকতায় বুধবার ট্রেনযোগে ঢাকা ছাড়বে প্রায় এক লাখ মানুষ। ভোর থেকেই রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ঈদযাত্রীরা আসতে শুরু করে। সকাল ৬টার আগেই স্টেশনের প্রতিটি প্লাটফর্মেই হাজার হাজার মানুষ জড়ো হতে দেখা যায়। এদিকে যাত্রী ভোগান্তি কমাতে এবারই প্রথমবারের মতো ঢাকা-খুলনা-ঢাকা রুটেও চলবে বিশেষ ট্রেন।
খুলনা রুট ছাড়া বাকি রুটগুলোর বিশেষ ট্রেন ঈদের পর সাতদিন চলাচল করবে। ট্রেনগুলো ক্ষেত্র বিশেষে কয়েকটি স্টেশনে থামবে। তবে সকালে খুলনাগামী ট্রেন সুন্দরবন এক্সপ্রেসের সিডিউল বিপর্যয়ের কারণে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। ট্রেনটি এদিন সকাল ৬টা ২০মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও তা এক ঘণ্টা দেরিতে স্টেশন ছেড়ে যায়। তবে বাকি ট্রেনগুলো নিদিষ্ট সময়ে স্টেশন ছেড়েছে। রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন সকাল সোয়া ৯টায় কমলাপুর থেকে লালমনিরহাটের উদ্দেশে একটি এবং রাত ১২টা ৫ মিনিটে খুলনার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে একটি বিশেষ ট্রেন। রাত ১০টা ৫০ মিনিটে পার্বতীপুরের উদ্দেশে একটি এবং রাত সোয়া ৯টায় রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে যাবে একটি বিশেষ ট্রেন।
এ বিষয়ে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী গণমাধ্যমকে জানান, যাত্রীদের যাতে দুর্ভোগ পোহাতে না হয় সেজন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে সব সময় ঈদ স্পেশাল সার্ভিস চালু করে। এবারের ঈদ স্পেশাল ট্রেন চলবে আজ থেকে। এবার ঈদে খুলনা রুটে প্রথমবারের মতো স্পেশাল ট্রেন চলবে। ১০ জুন থেকে স্পেশাল ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে, যা এখনও চলমান।
তিনি আরো বলেন, ঈদের পর সাতদিন ধরে এই ট্রেন চলবে। এসব ট্রেনের ফিরতি টিকিট নিজ নিজ স্টেশনে পাওয়া যাবে। যাত্রা নিরাপদ করতে নিয়োজিত রয়েছে র্যাব, পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা ও আনসার সদস্য। আর যাত্রীরা যাতে কোনো রকম ভোগান্তির শিকার না হন এজন্য রোভার স্কাউট, রেলওয়ে পুলিশ খুলেছে তথ্যকেন্দ্র। সেখান থেকে জেনে নিতে পারবেন বিস্তারিত সব তথ্য।