কে বলবে ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে অপারশেন টেবিলে যেতে হয়েছিল তাকে? খেলার বাইরে থাকতে হয়েছিল টানা ৯২ দিন? ব্রাজিলের জার্সিতে যেভাবে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ঘটেছে সুপারস্টার নেইমারের; তাতে বিশ্বকাপের প্রতিপক্ষরা প্রমাদ গোনা শুরু করেছেন। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে গোল করার পর কাল অস্ট্রিয়ার সঙ্গেও গোল করেছেন তিনি। মোট ৫৫ গোল করে ব্রাজিল কিংবদ্ন্তি রোমারিওর পাশে বসলেন নেইমার।
বিশ্বকাপের আগে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন নেইমার। চোটের কারণে তিন মাস মাঠের বাইরে থাকাটা নেইমারের ফর্মে কোনো প্রভাব ফেলেছে বলে মনে হচ্ছে না। দুই ম্যাচে দুটো গোল করে তার প্রমাণও দিয়েছেন। আর এই দুই গোল করেই ব্রাজিলের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় রোমারিওর সঙ্গে যৌথভাবে এখন তৃতীয় স্থানে আছেন নেইমার। সামনে শুধু পেলে আর রোনালদো। যদিও ৫৫ গোল করতে রোমারিওর চেয়ে ১১ ম্যাচ বেশি লেগেছে নেইমারের।
৭৪ ম্যাচে ৫৫ গোল করেছিলেন রোমারিও, এদিকে নেইমার খেলেছেন ৮৫ ম্যাচ। ৯৮ ম্যাচে ৬২ গোল নিয়ে নেইমারের সামনে আছেন রোনালদো। সবার ওপরে ৯২ ম্যাচে ৭৭ গোল নিয়ে সবার ওপরে আছেন পেলে। স্বাভাবিকভাবেই, প্রিয় ক্লাব সান্তোসের কিংবদন্তি ও ব্রাজিলের সর্বকালের সবচেয়ে বড় তারকা পেলের রেকর্ডের দিকেই নজর রয়েছে নেইমারের, পেলেকে ধরতে আর মাত্র ২২টা গোল দরকার! ২৬ বছর বয়সী তারকার জন্য এটা খুব একটা কঠিন কিছু নয়।
রোমারিও পাশে বসে তাকেই গোলটা উৎসর্গ করে নেইমার বলেন, ‘আজকের গোলটা আমার আদর্শ রোমারিওকে উৎসর্গ করেছি। ভেবেছিলাম গোলটা করার পরে কোনো না কোনোভাবে আমার আইডলকে এটা উৎসর্গ করব। শুধুমাত্র আমারই নয়, সব ব্রাজিলিয়ানদেরই আদর্শ তিনি (রোমারিও)। ব্রাজিল ইতিহাসের সেরা গোলদাতাদের সঙ্গে একই তালিকায় থাকতে পারাটা আমার জন্য অনেক গর্বের একটা বিষয়।’