পুলিশ দম্পতি হত্যার দায়ে তাদের মেয়ে ঐশী রহমানের মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন দেয়া হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। আপিলে ঐশীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার আবেদন করা হয়েছে।
সোমবার সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়।
এর আগে গত বছরের ৫ জুন ঐশীর ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণ) ও আপিলের রায়ে বিচারিক আদালতের দেয়া সর্বোচ্চ সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
একই সঙ্গে জরিমানা ২০ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৫ হাজার করেন উচ্চ আদালত।
২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগে নিজেদের বাসা থেকে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (পলিটিক্যাল শাখা) ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর পর দিন ঐশী গৃহকর্মী সুমীকে নিয়ে রমনা থানায় আত্মসমর্পণ করেন।
২০১৪ সালের ৯ মার্চ গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ইন্সপেক্টর আবুল খায়ের মাতুব্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে ঐশী রহমান এবং তার দুই বন্ধু মিজানুর রহমান রনি ও আসাদুজ্জামান জনিসহ চারজনকে আসামি করে পৃথক দুটি চার্জশিট দাখিল করেন।
অন্য আসামি গৃহকর্মী খাদিজা আক্তার সুমি অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তার মামলাটির বিচার চলছে শিশু আদালতে।
এ হত্যা মামলার বিচার শেষে ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর নিহতদের একমাত্র মেয়ে ঐশী রহমানকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদের আদালত। পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়।
মামলার অন্য আসামি ঐশীর বন্ধু মিজানুর রহমান রনিকে খুনের ঘটনার পর ঐশীদের আশ্রয় দেয়ার অপরাধে দুবছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাস কারাদণ্ড দেয়া হয়। ঐশীর অন্য বন্ধু আসাদুজ্জামান জনি খালাস পান।