সরকার ক্ষমতা দখল করতে ভারতের সাথে গোপন চুক্তি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, সকল জনমতকে উপেক্ষা করে আকস্মিকভাবে বাংলাদেশ–ভারত প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে সরকার। এমনকি তাদের বাছাইকৃত লোক দিয়ে গঠিত একদলীয় জাতীয় সংসদে আলোচনা করারও প্রয়োজন বোধ করেনি। প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় ঋণ বাস্তবায়ন এবং সার্বিক সহযোগিতার বিস্তার ঘটাতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মোট চারটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
আজ রবিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তির কারণে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে। দেশের মানুষকে না জানিয়ে এ ধরনের দেশবিরোধী চুক্তির খবরে গোটা জাতি হতভম্ব ও চিন্তিত হয়ে পড়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, দেশনেত্রীর শারীরিক অবস্থার প্রতিদিন অবনতি হচ্ছে। তাঁর হাঁটা চলা করতে অসুবিধা হচ্ছে। এখন তাঁকে পরিত্যক্ত স্যাঁতসেঁতে অস্বাস্থ্যকর ভবনে রাখায় নানা ধরনের রোগ ও সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন তিনি। সরকারি মেডিক্যাল বোর্ড তাঁকে অর্থোপেডিক্স বেড দেওয়ার সুপারিশ করলেও এখন পর্যন্ত সেটি দেওয়া হয়নি।
দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অশুভ ও দুরভিসন্ধিমূলক উদ্দেশ্যেই কারাবন্দি করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা বারবার যে আশঙ্কার কথা বলে আসছি সেটি আরো স্পষ্ট হতে শুরু করেছে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দিলে অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্তের জন্য সরকার ও প্রধানমন্ত্রীকে কঠিন খেসারত দিতে হবে। বেগম জিয়ার মুক্তির ওপর নির্ভর করবে আগামী জাতীয় নির্বাচন। তাঁকে বন্দি রেখে আগামী একদলীয় ফ্যাসিবাদী নির্বাচন করার উদ্যোগ নিলে কঠিন প্রতিরোধে তা নস্যাৎ করে দেওয়া হবে।
খুলনা সিটি নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, ইসি নির্বিকার ও নীরব দর্শক। নির্বাচন কমিশন জেগে থেকে ঘুমিয়ে থাকার ভান করছে। এই কারনেই খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনী এলাকায় ভোটারদের মাঝে নানা কানাঘুষা চলছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, আব্দুস সালাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহিন প্রমুখ।