জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং কাজী সালিমুল হক কামালের পর এবার অপর আসামি ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে নিম্ন আদালতের দেওয়া অর্থদণ্ড স্থগিত করে আপিলটি খালেদা জিয়ার আপিলের সঙ্গে একসঙ্গে শুনানি হবে বলে আদেশ দেন।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
বুধবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন বিষয়ে আপিলের শুনানি শেষে ১৫ মে রায়ের দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান মামলাটিতে খালেদা জিয়ার ৫ বছর কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে খালেদার ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত। সেই থেকে কারাবন্দি খালেদা জিয়া।
রায় ঘোষণার ১১দিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রায়ের সার্টিফায়েড কপি বা অনুলিপি হাতে পান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
এরপর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ২০ ফেব্রুয়ারি এ আবেদন দায়ের করেন। ২২ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ এবং অর্থদণ্ড স্থগিত করে নথি তলব করেন।
এরপর ৭ মার্চ অপর আসামি মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামালের আপিলও শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। এখন এইসব আপিলের শুনানি একসাথে হবে বলে জানিয়েছেন দুদক আইনজীবী।