জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন প্রশ্নে আপিল শুনানি সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ১৫ মে মঙ্গলবার খালেদার জামিন নিয়ে রায় ঘোষণা করা হবে। সব পক্ষের শুনানি শেষে আজ বুধবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ রায়ের জন্য এ দিন নির্ধারণ করেন। সকাল ৯টা ২৫ মিনিটের দিকে শুনানি শুরু হয়। মাঝখানে আধা ঘণ্টার বিরতি দিয়ে টানা ১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত শুনানি চলে।
দ্রুত আপিল নিষ্পত্তি এবং খালেদার জামিন বাতিল চেয়ে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তবে খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রাখার আর্জি জানিয়ে শুনানি করেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ জে মোহম্মদ আলী ও জয়নুল আবেদীন।
গত ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন ৮ মে পর্যন্ত স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। খালেদা জিয়ার জামিনের বিরুদ্ধে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল গ্রহণ করে এই আদেশ দেন। গত ১৫ মার্চ খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে লিভ টু আপিল দায়ের করেন রাষ্ট্রপক্ষ ও দুর্নীতি দমন কমিশন। গত ১৪ মার্চ খালেদা জিয়ার হাইকোর্টের দেওয়া চার মাসের জামিন স্থগিত করে লিভ টু আপিল দায়েরের জন্য দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।
এর আগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চার মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন নিম্ন আদালত। এ মামলার অপর আসামি তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ বাকি পাঁচজনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা জরিমানাও করা হয়।