চরাঞ্চলের দরিদ্র মানুষকে উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় সংযুক্ত করতে না পারলে বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে পারবে না। তাই সরকার বিভিন্ন সফল প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে ও আরো প্রকল্পের পরিকল্পনাও নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আজ বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বগুড়ার পল্লী উন্নয়ন একাডেমি আয়োজিত ন্যাশনাল সেমিনার ফিউচার প্ল্যানিং অব চর ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ সেন্টার (সিডিআরসি) শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বর্তমানে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে কোনো মঙ্গা নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সিআরপি, এমফোরসি, একটি বাড়ি একটি খামারের মতো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে করেন দারিদ্র্য বিমোচন ও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশের প্রতিটি বাড়িকে একটি খামার হিসেবে গড়ে তোলা প্রয়োজন। দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) এবং বাংলাদেশের সরকারের সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার আলোকে কাজ করে যাচ্ছে।
খন্দকার মোশাররফ আরো বলেন, দেশের উত্তরাঞ্চলের দারিদ্র্য ও অন্যান্য ঝুঁকি হ্রাসের লক্ষ্যে আরডিসিডি, ডিএফআইডি, এইউএসএআইডির সহযোগিতায় সিএলপি প্রকল্পের মাধ্যমে ২০০৪-২০১৬ মেয়াদে ১০টি জেলার ৩৩টি উপজেলার ১২০টি চর ইউনিয়নে ১ লাখ ৩০ হাজার পরিবারকে সম্পদ হস্তান্তরের মাধ্যমে দারিদ্র্যমুক্ত করা হয়েছে। এমফোরসি প্রকল্পের আওতাধীন চরাঞ্চলের টেকসই বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ১০টি জেলায় ৯০ হাজার দরিদ্র পরিবারের আয় ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব হয়েছে।