নরসিংদীতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই আওয়ামী লীগ নেতার সমর্থকদের মধ্যে টেঁটাযুদ্ধে নারীসহ ৩৫ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে সদর উপজেলার চরাঞ্চলের চরদীঘলদী ইউনিয়নের অনন্তরামপুর গ্রামে এ টেঁটাযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
আহতদের নরসিংদী সদর হাসপাতাল ও এক শ শয্যাবিশিষ্ট নরসিংদী জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নরসিংদীর মাধবদী থানার ওসি মুহাম্মদ ইলিয়াছ এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চরদীঘলদী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মিয়াচাঁন পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছে। এসব বিরোধ মীমাংসার জন্য আগামীকাল বুধবার ইউপি চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় সালিসি বৈঠকের দিন ধার্য্য করা হয়।
আজ মঙ্গলবার সকালে ইউনিয়নের অনন্তরামপুর বাজারের চায়ের দোকানে সালিসি বৈঠক নিয়ে দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুপক্ষের সমর্থকরা টেঁটা, বল্লমসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে নারীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৩৫ জন আহত হন। টেঁটাবিদ্ধ অবস্থায় ১৮ জনকে নরসিংদী সদর হাসপাতাল ও ১৫ জনকে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতদের মধ্যে মোশারিন (৪০), মজিবুর রহমান (৫০), মুক্তার মিয়া (৩২), মহিম (৩২), রিতা (২২), আলী হোসেন (৪০), দেলোয়ার হোসেন (৪০), ইসমত আরা (৪২), মো. আলী (২২), বিল্লাল (৩৫), মিনিস্টার (৩৫), নাজিম উদ্দিন (৩০), হানিফা (৪০), শুক্কুর আলী (২৩), হাবিব (৪৫), মালেক (৩৫), আতাবর (৫৫) এবং শাহিনুরকে (৪০) নরসিংদী সদর হাসপাতাল এবং আউয়াল খন্দকার (৬৫), শুক্কুর আলী (৩৬), কবির হোসেন (২২), মজিদা বেগম (৩৫), ছিফর আলী (৪৬), এজাজ মিয়া (৪৫), বাচ্চু মিয়া (৩২), আশরাফ হোসেন (৩২), মমিন (২৬), জালাল মিয়া (৩০) আতাউর (৫০), নাজিম (৩০), দাইয়ান (২৬) লীলা বিবি (৬৫) আমিরকে (৪০) নরসিংদী জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মাধবদী থানার ওসি মুহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়েছে এবং বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আধিপত্য বিস্তারের পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। আজ তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কথাকাটাকাটির জের ধরে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।’