নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ৩-০ তে এগিয়ে ছিল জুভেন্টাস। ম্যাচটি অতিরিক্ত সময়ে গড়ানোর দিকেই যাচ্ছিল। হঠাৎ করেই গোলমুখে বেনাতিয়ার ফাউল ধরে বসেন রেফারি।
রেফারির এ সিদ্ধান্তে বাগড়া বাধান জুভি গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি বুফন। মাঠে সর্ব ক্ষমতার অধিকারীর সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে লাল কার্ড দেখেন তিনি। এতে মাঠ ছেড়ে যেতে বাধ্য হন।
পরে বদলি গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে সফল স্পট কিকে বল জালে জড়িয়ে রিয়ালকে সেমিফাইনালে তোলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। এতে স্বপ্নভঙ্গ হয় তুরিনের ওল্ড লেডিদের।
বিষয়টি মোটেও মেনে নিতে পারছেন না বুফন। কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন ইংলিশ রেফারি মাইকেল অলিভেরকে। সরাসরি তাকে ‘খুনি’ বলে আখ্যায়িত করেছেন জুভেন্টাস গোলরক্ষক।
ম্যাচ শেষে একটি টিভি চ্যানেলকে তিনি বলেন, এটি গুরুতর কোনও ফাউল ছিল না। দশ ভাগের এক ভাগ পেনাল্টি ছিল। প্রথম লেগে আমরা পরিষ্কার একটি পেনাল্টি পেতাম। তবু তা পাইনি। সেখানে ৯৩ মিনিটে এমন ঘটনায় রেফারি পেনাল্টি দিতে পারেন না।
রাগ-ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সেই রেফারির ওপর, তিনি নির্দয়। তার বুকে মায়াদয়া নেই।এমন একটি ম্যাচ পরিচালনার মতো ব্যক্তিত্ববান নন উনি। স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে গ্যালারিতে বসে উনার চিপস খাওয়াউচিত। অনাহুত একটি দলের স্বপ্ন ভাঙা কেলেঙ্কারি।
উনি তো একজন খুনি-যোগ করেন বুফন।
শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলে জেতে জুভেন্টাসই। তবে প্রথম লেগে ৩-০তে জেতে রিয়াল। ফলে দুই পর্ব মিলিয়ে ৪-৩ গোলের অগ্রগামিতায় সেমিতে উঠেছে জিনেদিন জিদানের শিষ্যরা।
একরকম অল্পের জন্যই কানের পাশ দিয়ে গুলিটা চলে গেছে। এ নিয়ে টানা আটবার চ্যাম্পিয়ন লিগের শেষ চারে উঠল রেকর্ড ১২বারের শিরোপাজয়ীরা।