২০১৭ সালের নভেম্বরে বার্সেলোনার সঙ্গে নতুন চুক্তিতে সই করেছেন লিওনেল মেসি। নতুন চুক্তিতে ছোট ম্যাজিসিয়ানের রিলিজ ক্লজ নির্ধারণ করা হয়েছে ৬২৫ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড। দলের গোলমেশিনকে যাতে প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবগুলো কিনতে না পারে, সেজন্য এত চড়া রিলিজ ক্লজ নির্ধারণ করেছেন কাতালানরা। তবে এতেও নাকি তাকে ধরা রাখা যাবে না বলে শঙ্কা বোধ করছেন বার্সা আর্থিক ও কৌশলগত পরিচালক পাঞ্চো স্করোডার।
চলতি মৌসুমেও আগুনে ফর্মে আছেন মেসি। সব প্রতিযোগিতা মিলে এরই মধ্যে করে ফেলেছেন ৩২ গোল। এ পথে ছুঁয়েছেন অনন্য মাইলফলক। ইতিহাসে এখন তিনিই সর্বোচ্চ গোল স্কোরার (৬০০ গোল)।
পাঞ্চো মনে করেন, এমন ফর্মে থাকা ফুটবলারকে ৬২৫ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ডেরও বেশি অর্থ দিয়ে কিনে ফেলতে পারে প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবগুলো।
বার্সা আর্থিকপরিচালককে শঙ্কা জোগাচ্ছে গত বছর আগস্টে নেইমারের দলবদল। বিশ্বরেকর্ড গড়ে (১৯৯ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড) বার্সেলোনা থেকে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডকে ভাগিয়ে নেয় পিএসজি। অথচ তাকে ধরে রাখতেই সেই রিলিজ ক্লজ নির্ধারণ করেছিলেন কাতালানরা। এর পর মেসিকেও আকাশছোঁয়া দামেই কিনে নিতে পারে কেউ। আধুনিক ফুটবল ক্লাবগুলোর পকেট যখন অতিশয় গরম, তখন এও সম্ভব।
পাঞ্চো বলছেন, মেসিকে ধরে রাখতেই এত রিলিজ ক্লজ নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে কেউ এ আকাশচুম্বী মূল্যেও ফুটবলের বরপুত্রকে কিনে নিলে আশ্চর্য হব না। যেহেতু সদ্যই এ রকমটি ঘটেছে। চড়া রিলিজ ক্লজেও আমরা নেইমারকে বাগে রাখতে পারিনি। তাই মেসিকে ডেরায় রাখতে আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে মাথা ঘামাতে হবে।