আন্তর্জাতিক চাপে বাংলাদেশের সাথে সমঝোতা করলেও রোহিঙ্গাদের ফেরত প্রক্রিয়া ইচ্ছা করেই জটিল করে তুলছে মিয়ানমার, বলেছেন বিশ্লেষকরা। রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে বাধ্য করতে শুধু কূটনৈতিক চাপ না দিয়ে বিশ্বকে মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের মতো কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। একইসাথে রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার নিশ্চিত করে ফেরত নেয়ার কথা বলেছেন বিশ্লেষকরা।
সমঝোতার আলোকে ২০ ফেব্রুয়ারী ঢাকায় মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে ৮ হাজার উদ্বাস্তু রোহিঙ্গার তালিকা তুলে দেয় বাংলাদেশ। যাচাই-বাছাই শেষে শিগগিরই এসব লোকের ফেরত নেয়ার কথা থাকলেও এখনো শুরু হয়নি প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া। উল্টো পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফেলে আসা গ্রামগুলো বুলডোজার দিয়ে নিশ্চিহ্ন করে দিচ্ছে মিয়ানমার। পাশাপাশি নোম্যানস ল্যান্ডে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদেরও নতুন করে বাংলাদেশে তাড়িয়ে দিচ্ছে বর্বর সেনারা।
উদ্বাস্তু রোহিঙ্গাদের ফেরত প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত ও জটিল করতেই মিয়ানমার এমন কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। এরইমধ্যে যুক্তরাজ্যের একশো সংসদ সদস্য মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে দেশটির সরকারকে চিঠি দিয়েছে। বাকীদেরও একই ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান বিশেষজ্ঞরা। মিয়ানমারকে চাপে ফেলতে বাংলাদেশকে আরো কৌশলী কূটনৈতিক প্রচেষ্টা নেয়ার কথা বলেন তারা।