তিন বছরেও শেষ হয়নি ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যার তদন্ত। এ দীর্ঘ সূত্রিতায় ক্ষুব্ধ তার বাবা অধ্যাপক অজয় রায়। তবে, বরাবরের মতো পুলিশ বলেই চলছে, অচিরেই দেয়া হবে তদন্ত প্রতিবেদন। এ মামলায় গ্রেফতার নয়জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত তিনজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আর ধরাছোঁয়ার বাইরে অভিজিৎ হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী চাকরিচ্যুত মেজর জিয়াসহ সরাসরি জড়িত আরো ৫ জন।
২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সাল। একুশে বইমেলা থেকে রাত নয়টার দিকে টিএসসি পার হচ্ছিলেন মুক্তমনা লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায়। হঠাৎ দুই যুবক পেছন থেকে চাপাতি দিয়ে হামলা চালায় অভিজিৎ ও তার স্ত্রী রাফিদার ওপর। গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে নেয়ার পর চিকিৎসকরা অভিজিতকে মৃত ঘোষণা করেন।
অভিজিৎ মার্কিন নাগরিক হওয়ায় এ হত্যা মামলা তদন্তে সহায়তা করতে ঢাকা এসেছিল এফবিআইয়ের একটি দল। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা আলামত পাঠানো হয় এফবিআই ল্যাবে। পরীক্ষায় পাওয়া যায় খুনিদের ডিএনএর নমুনা।
কিন্তু এখনো অধরা এ হত্যাকাণ্ডের নির্দেশদাতা আনসারউল্লাহ বাংলাটিমের সামরিক শাখার কমান্ডার বরখাস্ত মেজর জিয়া।অভিজিৎ হত্যার তদন্তে পেরিয়ে গেছে তিন বছর। চলছে সময় ক্ষেপণ, দাবি অভিজিতের পরিবারের। ব্লগার ও মুক্তমনা লেখক হত্যাকাণ্ডগুলোর তদন্তকে আরো কার্যকর দেখতে চান অজয় রায়।