গত এক সপ্তাহে রংপুরে দুটি ভয়াবহ প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে এবং এতে করে দুজন ব্যক্তি প্রতারকের খপ্পড়ে পরে (৩০+৫) মোট ৩৫ লক্ষ টাকা হারিয়েছেন।
এরা যে কতটা বেকুব এখন হয়তো বুঝতে পারছে। আর এজন্য লজ্জায় কারো কাছে কিছু না পারছে বলতে আবার না পারছে সহ্য করতে।
এজন্যই জ্ঞানীরা অনেক আগেই বলে গেছেন, ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না।
লোভে পাপ, পাপে মৃত্য আর কত বার আপনাদের বলতে হবে!
কথা গুলো টাইমলাইনে শেয়ার করার উদ্দেশ্য হচ্ছে, অপরিচিত কোনো লোকের সাথে কখনোই লেনদেন করবেন না। আপনাকে যতই লোভ দেখাক না লেনদেনের বিষয়টি নগদ ক্যাশ ডেলিভারি না করে অবশ্যই ব্যাংকের মাধ্যমে করবেন।
কোনো কিছুর বিনিময়ে কেউ আপনাকে ক্যাশ দিলে অবশ্যই তার পুরোটা ভালো করে চেক করে নিবেন। নইলে বাসায় এসে সেই প্যাকেট খুলে দেখবেন সেখানে কচকচে টাকার নোটের পরিবর্তে সুন্দর করে বিছানার চাদর, গামছা আর লুঙ্গি অথবা কাগজ রাখা আছে।
আর এরকম ঘটনা যদি আমার সাথেও হয় আমিও তো আরেকজনকে বলতে বিব্রত বোধ করব। আর এরকম ঘটনায় আইনি প্রতিকার পাওয়ার সুযোগ খুবই কম থাকে কারন যারা এই কাজটি করে তারা সব জেনে শুনে বুঝেই করে যাতে তাদের কোনো ট্রেস না থাকে।
তারপরও আমাদের যতটুকু করার আমরা করব। কিন্তু সবার প্রতি অনুরোধ একটু সচেতন হয়ে, চোখ, কান খোলা রেখে পথ চলুন।
নইলে আপনি যেভাবে অত্যন্ত সচেতনভাবে আরেকজনের হাতে আপনার মূল্যবান সম্পদ তুলে দিচ্ছেন তার নিরাপত্তা কি আদৌ পুলিশের দ্বারা দেওয়া সম্ভব?
আপনি কি এরকম লেনদেনের আগে একবারো পুলিশের সহযোগিতা বা পরামর্শ নিয়েছিলেন? অথবা যার সাথে লেনদেন করছেন তার সঠিক তথ্য জানার চেষ্টা করেছেন?
এতো বোকা কেন আপনারা বলুন তো? মানুষ এতো লোভী হয় কিভাবে?
পরিশ্রম না করে যারা রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখে তাদের কপালে এমন দুর্গতি ছাড়া আর কি থাকতে পারে?
সাব ইন্সপেক্টর সালেহ ইমরানের ফেসবুক থেকে