Monday , 23 December 2024
সংবাদ শিরোনাম

আগামী মে-তে জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস খুলতে যাচ্ছে

মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের মিত্র দেশগুলোর আপত্তি সত্ত্বেও আগামী মে মাসে জেরুজালেমে দূতাবাস খুলতে যাচ্ছে যক্তরাষ্ট্র। ইসরাইল রাষ্ট্রের ৭০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর সঙ্গে মিল রেখে এক বছর আগেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিতর্কিত ঘোষণা বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে।-খবর গার্ডিয়ান অনলাইন।

১৯৪৮ সালের ১৪ মে ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়া হয়। কাজেই মে মাসের মাঝামাঝিতেই ফিতা কেটে দূতাবাস উদ্বোধন করা হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেন, জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের যে কনস্যুলেট ভবন রয়েছে, সেখানেই তাদের রাষ্ট্রদূত অফিস করতে শুরু করবেন। বর্তমানে কনস্যুলেটের পরিসর বাড়ানো হচ্ছে।

পরবর্তীতে নতুন দূতাবাসের জন্য জায়গা পছন্দ করা হবে। এক কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস শনাক্ত করতে কনস্যুলেট ভবনে একটি সাইনবোর্ড লাগানো হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বছরের একেবারে শেষ দিকে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি এবং সেখানেই মার্কিন দূতাবাস সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দেন। তার এ ঘোষণা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন অশান্তির জন্ম দেয়। গাজা, বেথেলহেম, জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরসহ বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের সংঘর্ষ শুরু হয়।

ইসরায়েল জেরুজালেমকে তাদের রাজধানী হিসেবে দীর্ঘকাল দাবি করে আসলেও এর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ছিল না। ফিলিস্তিনিরা শহরটির পূর্বাংশকে তাদের ভবিষ্যত রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে চেয়ে আসছে।

জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং প্রভাবশালী দেশগুলোও এতদিন ধরে পুরো জেরুজালেমে ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণের বিরোধিতা করে আসছিল। পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েলের অবস্থানকে দখলদার হিসেবেই দেখছিল তারা।

ডিসেম্বরে ট্রাম্পের ওই ঘোষণার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় আরব ও ইউরোপীয় মিত্ররা। ইউরোপীয় ইউনিয়ন যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে। ট্রাম্প প্রশাসনের ঘোষণা মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করবে বলেও মন্তব্য করে তারা।

তাৎক্ষণিক এক জরুরি সভায় মুসলিম দেশগুলোর সংগঠন ওআইসি জেরুজালেমকে পাল্টা ফিলিস্তিনের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা দিতে সারাবিশ্বের প্রতি আহ্বানও জানায়।

ফিলিস্তিনের আলোচক সায়েব এরাকাত মে মাসে দূতাবাস স্থানান্তরের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। কারণ এই একই মাসে ফিলিস্তিনিরা নাকবার ঘোষণা দিয়েছিলেন।তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই উদ্যোগ আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘনের শামিল। এটা দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের পথও বন্ধ করে দেবে।

Share!

About newsfair

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top