দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে খালেদার আইনজীবী দলের সদস্য ব্যারিস্টার কায়সার কামাল মঙ্গলবার হাই কোর্টের সংশ্লিট শাখায় এই আপিল জমা দেন।
নথিপত্রসহ ১২২৩ পৃষ্ঠার ওই আবেদনে ফাইলিং লইয়ার হিসেবে আবদুর রেজাক খানের নাম রয়েছে। সাজার রায়ের বিরুদ্ধে ২৫টি যুক্তি দেখিয়ে খালেদার জিয়ার খালাস চাওয়া হয়েছে ওই আবেদনে।
গতকাল সোমবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার রায়ের সার্টিফায়েড কপি হাতে পায় খালেদার আইনজীবীরা। এর পরই আজ আপিল করবেন বলে তারা জানিয়েছেন।
জানা গেছে, আপিল আবেদন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হতে পারে।
এর আগে রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আপিল ও জামিন আবেদনের প্রস্তুতিতে দফায় দফায় বৈঠক করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
এই বৈঠকে ছিলেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, দুদক আইন বিশেষজ্ঞ অ্যাডভোকেট আবদুর রেজাক খান, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন, সমিতির সম্পাদক ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সানাউল্লাহ মিয়া, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, মাসুদ আহমেদ তালুকদার প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাচঁ বছর কারাদণ্ড দিয়ে রায় দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। রায়ের পরই তাকে ঢাকার পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর থেকে তিনি সেখানে কারাবন্দি রয়েছেন।