জিয়ার অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রস্তুত হয়েছে। সত্যায়িত অনুলিপির ১১৬৮ পৃষ্ঠার রায় সোমবার বিকালেই প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন আদালত। আদালত সূত্রে জানা যায়, খালেদার ৬৩২ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় কার্টিজ পেপারে প্রিন্ট দেওয়ার পর দাঁড়িয়েছে ১১৬৮ পৃষ্ঠায়। প্রতি পৃষ্ঠায় বিচারকের সীল ও স্বাক্ষর থাকবে এবং চলছে তার কাজ। আজ দুপুরের পর আইনজীবীদের হাতে তা দেয়া হবে। সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ১২ দিন ধরে রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন। রায়ের সার্টিফায়েড কপি না মেলায় জামিন আবেদন করতে পারেননি তিনি। অবশেষে হাইকোর্টে জামিন আবেদনের পথ সুগম হচ্ছে আজ সোমবার। চলছে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের শেষ মুহূর্তের কাজ।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর পেশকার মোকাররম হোসেন সোমবার বেলা ১২টার দিকে বলেন, আজ বিকেলের মধ্যে জিয়া অরফানেজ মামলার রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি আইনজীবীদের হাতে তুলে দেয়া হবে। রায় মোট ৬৩২ পৃষ্ঠার। এটি অনুলিপির (সার্টিফায়েড কপি) পর দলিলের (কার্টিজ পেপার) কাগজে প্রিন্ট হয়ে পৃষ্ঠার সংখ্যা হয়েছে ১১৬৮। প্রতিটা পৃষ্ঠায় বিচারকের সীল ও স্বাক্ষরের কাজ চলছে। এ প্রক্রিয়া শেষ হবে আজ দুপুরের পর। আদালত সূত্রে জানা গেছে, বিচারকের তত্ত্বাবধানে ৩-৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী পুরোদমে কাজ করছেন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি পুরান ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর এবং সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সলিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ এবং দুই কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।