দুই বছর আগের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সোনালী ব্যাংকের তিনটি পদে দুই হাজার ২০১ জনকে নিয়োগের ওপর থেকে স্থিতাবস্থা তুলে নিয়েছে আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে চাকরিপ্রত্যাশীদের করা পৃথক পাঁচটি লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
এর ফলে ২০১৬ সালের ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী দুই হাজার ২০১টি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে আর আইনগত কোনো বাধা থাকল না বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।
আদালতে সোনালী ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শেখ ফজলে নূর তাপস ও মোহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী। লিভ টু আপিলকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালে সোনালী ব্যাংক তিন পদে ২ হাজার ২০১ জন অফিসার নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়। পদগুলো হচ্ছে- সিনিয়র অফিসার, অফিসার ও অফিসার ক্যাশ। কিন্তু নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন কয়েকজন চাকরিপ্রত্যাশী। তারা ২০১৪ সালে সোনালী ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে আবেদনকারী ছিলেন।
রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত বছরের ২৭ জুলাই হাইকোর্ট রিট আবেদন খারিজ করে রায় দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে চাকরিপ্রত্যাশীরা পৃথক পাঁচটি লিভ টু আপিল করেন। আপিল বিভাগ এ নিয়োগপ্রক্রিয়ার ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আদেশ দেন। লিভ টু আপিলের শুনানি শেষে আজ মঙ্গলবার আদালত তা খারিজ করে আদেশ দেন। ফলে দুই হাজার ২০১টি পদে নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনায় আইনগত কোনো বাধা নেই।
আদেশের পর আইনজীবী মোহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, আপিল বিভাগ পাঁচটি লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন। তাই নিয়োগ কার্যক্রম চালাতে আইনগত কোনও বাধা নেই।