ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক রাখতে নতুন নির্দেশনা দিয়ে ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়েকে (আইআইজি) মেইল করেছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি)। আজ সোমবার সকালে বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক রাখতে নতুন এই নির্দেশনায় বলা হয়, ইন্টারনেটের গতি এখন থেকে আগের মতোই স্বাভাবিক থাকবে।
এসএসসি পরীক্ষার দিনগুলোতে প্রশ্নপত্র ফাঁস প্রতিরোধ করতে এবার আড়াইঘণ্টা করে সব ধরনের ইন্টারনেট সেবা ধীরগতি রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। এ মাসের ২২ তারিখ পর্যন্ত সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ইন্টারনেটের গতি সীমিত রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। ধীরগতির পরিমাণ এমন স্তরে রাখা হচ্ছে সেটাকে ইন্টারনেট বন্ধ বলেই উল্লেখ করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। এই সিদ্ধান্তের ফলে এভিয়েশন খাতে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। তাই আজ ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক করা হয়।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেছেন, সরকারের নির্দেশনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখছি ইন্টারনেটের মাধ্যমে বেশ কিছু অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে, ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনেক কিছু পাচার হয়ে যাচ্ছে, বিশেষ করে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র। সেটা নিয়ন্ত্রণের জন্য এটা একটা চেষ্টা মাত্র। এর আগে রোববার এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে ইন্টার নেট গতি কমানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। ইন্টারনেট ধীরগতি করার মহড়া দেয়ার জন্য আধা ঘণ্টার জন্য আইএসপি, ওয়াইম্যাক্স ও মোবাইল ফোন অপারেটরদের ইন্টারনেট গতি কমিয়ে রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়।
এর আগে বিটিআরসির নির্দেশনায় বলা হয়, ইন্টারনেটের ডাউনস্ট্রিম গতি ২৫ কিলোবাইট পার সেকেন্ড (কেবিপিএস) করে রাখার জন্য। এই নির্দেশনার ফলে আইএসপি, ওয়াইম্যাক্স এবং মোবাইল ইন্টারনেটসহ সব ধরনের ইন্টারনেট ধীরগতি হয়ে যায়। রবিবার সকালে এসএসসি পরীক্ষা শুরুর সময় সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত শুধুমাত্র মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেয় বিটিআরসি। তবে বিটিআরসির পক্ষ থেকে এক ঘণ্টা মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ রাখতে বললেও সাড়ে ৯টা থেকে ৩০ মিনিটের জন্য এ সেবা বন্ধ ছিল।