অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের মঞ্চে প্রথম হারের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। প্রথম দুই ম্যাচে টানা জয়ের পর আজ শক্তিশালী ইংল্যান্ডের কাছে হেরে গেছে সাইফ হোসেনের দল। ম্যাচটিতে ব্যাট হাতে কিছুই দেখাতে পারেনি স্বীকৃত ব্যাটসম্যানরা। তবে ৭ উইকেটের এই পরাজয়ে অবশ্য পরের রাউন্ডে যাওয়ার আশা শেষ হয়ে যায়নি। পরবর্তী ম্যাচে কানাডাকে ইংল্যান্ড হারালেই পরের রাউন্ড নিশ্চিত করবে জুনিয়র টাইগাররা।
কুইন্সটাউন ইভেন্ট সেন্টারে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই মহাবিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ৮ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর আফিফ হাসানের ৬৩ আর আমিনুল ইসলামের ৩১ রানে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ১৭৫ রানে অল-আউট হয় বাংলাদেশ। এতে অবশ্য তৌহিদ হৃদয়ের (১২) এলবিডব্লু য়ের সিদ্ধান্তটি বিতর্কিত। কিন্তু সবার ব্যাটিং ব্যর্থতার মাঝে এটিকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করানো যায় না।
এমন বিপর্যয়ের পরও আফিফ হোসেন ও আমিনুল ইসলাম বিপ্লব চেষ্টা করেছিলেন। দুজনে মিলে গড়েন ৯৪ রানের জুটি। কিন্তু অফ স্পিনার ইভান উডসের এক ওভারে আমিনুল ও আফিফ ফিরে গেলে আবারও বিপর্যয়ে পড়ে যায় দল। আফিফ এই টুর্নামেন্টে নিজের ব্যাটে দারুণ ধারাবাহিকতাই ধরে রেখেছেন। তবে ওপেনার পিনাক ঘোষ ব্যর্থ হয়েছেন। তার উইকেটটি নিয়েও সন্দেহের অবকাশ আছে। ডিলন পেনিংটনের বলটি লেগ স্টাম্পের বাইরে পিচ করে বাঁহাতি পিনাকের অফ স্টাম্প মিস করছিল বলে মনে হয়েছে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৯ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপদে বিপদে পড়েছিল ইংল্যান্ড। দলীয় ৪৯ রানে উইল জ্যাকসও প্যাভিলিয়নে ফিরেন। তবে অধিনায়ক ব্রুকস ও উডস বড় জুটি গড়ে দলকে বিপদমুক্ত করে ২৯.৩ ওভারেই পৌঁছে দেন জয়ের বন্দরে। ৮৪ বলে ১৩ চার ৩ ছক্কায় অপরাজিত ১০২ রান করেন। অন্যপ্রান্তে ধীরস্থির ব্যাটিংয়ে ৫৮ বলে ৪৮ রান করেন উডস।