বাড়ি ভাড়ার রিট মামলার শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিনের কার্যতালিকায় আসবে বলে আদেশ দিয়েছেন আদালত, বলে জানিয়েছেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরে এলাকাভেদে মতামত, যুক্তি ও গণশুনানি করে ভাড়া নির্ধারণের কমিশন গঠনে হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশের আগেই প্রয়াত হন রায় দানকারী বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি। এরপর প্রধান বিচারপতি রায়টি লেখার জন্য হাইকোর্ট বিভাগের আরেক বিচারপতিকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি প্রধান বিচারপতিকে জানিয়েছেন শুনানি ছাড়া এ রায় লেখা যাচ্ছে না। পরে প্রধান বিচারপতি ফের এ মামলার শুনানির জন্য বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. সেলিমের হাইকোর্ট বেঞ্চে প্রেরণ করেছেন বলে জানিয়েছেন রিট আবেদনকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
রশিদ দিয়ে মানসম্মত ভাড়া আদায়, ভাড়া বৃদ্ধির ওপর বিধি নিষেধসহ আইন অমান্যে বাড়ির মালিকদের দণ্ডের বিধান রেখে করা আইন মানা হচ্ছে না। বাড়ির মালিকরা তাদের মনমতো যেকোনো সময় ভাড়া বাড়াচ্ছেন এবং ভাড়াটিয়াদের উচ্ছেদ করছেন। এ কারণে ২৫ বছর আগে করা বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইনের বিধান মানতে এবং প্রয়োগ করাতে ২০১৫ সালের ১ জুলাই ওই রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। ১৯৯১ সালে বর্তমানে প্রচলিত বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইনটি জারি করা হয়। অন্যদিকে ১৯৯১ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই মহানগরীকে ১০টি রাজস্ব অঞ্চলে ভাগ করে তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাড়া নির্ধারণ করে দেয় ঢাকা সিটি কর্পোরেশন (ডিসিসি)।
এ আইনের বিধান কার্যকর না হওয়ায় এবং কোন এলাকার ভাড়া কত হবে, তা সুনির্দিষ্ট করে সরকার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করুক, এটি কার্যকর চেয়ে ২০১০ সালের ২৫ এপ্রিল মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে রিট করা হয়।
রিট আবেদনে বলা হয়েছিলো, বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইনে ভাড়ার রশিদ ও বাড়ি ছাড়ার জন্য নোটিশ দেওয়াসহ বিভিন্ন বিধান থাকলেও বেশিরভাগ সময় বাড়ির মালিকেরা সেটা পালন করছেন না। এমনকি ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা অনুসারেও ভাড়া আদায় করা হচ্ছে না।