অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, সিপিডি বাংলাদেশকে টেনে নামানোর চেষ্টা করছে। তারা কখনো বাংলাদেশের উন্নয়ন চোখে দেখে না। শুধু নেতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরে।
আজ রবিবার সচিবালয়ে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
গতকাল শনিবার ‘বাংলাদেশ অর্থনীতি ২০১৭-২০১৮: প্রথম অন্তর্বর্তীকালীন পর্যালোচনা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে সিপিডি। সেখানে সিপিডি জানায়, ২০১৭ সাল ছিল ব্যাংক খাতের কেলেঙ্কারির বছর।
সিপিডির এই মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, কই, অত বড় কেলেঙ্কারি (হলমার্ক) হয়ে গেল, তখন তো তারা কিছু বলেনি।
ওই সংবাদ সম্মেলনে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, সার্বিকভাবে ২০১৭ সালে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা চাপের মধ্যে ছিল। ব্যাংক অস্থিতিশীলতা নিরসনে কোনো পদক্ষেপ ২০১৮ তে হবে সেটার কোনো লক্ষণ আমরা দেখছি না। আমরা দেখছি অপরিশোধিত ঋণ বেড়ে গেছে। করের টাকা দিয়ে পুনরায় তফসিলি করা হয়েছে।
সিপিডি আরো জানায়, ঋণ লোপাট, ২০১৮ সালেও নাজুক পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণের সুযোগ নেই। কারণ ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন করে মালিকদের পারিবারিক নিয়ন্ত্রণ আরো বাড়ানোর সুযোগ করে দিয়েছে সরকার।
ওই পর্যালোচনায় কোন বিষয়টি আপত্তিকর সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দ্যাটস অল রাবিশ.. রাবিশ..রাবিশ’।
পরে তিনি বলেন, আগামী অর্থবছরে ভ্যাটের হার আলাদা হবে বলে। হয়তো আগামী বাজেটই আমার শেষ বাজেট। দারিদ্র্য বিমোচনে সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তাতে ২০২০ সালেই এ লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো যাবে। তবে কিছু ফাঁক-ফোকর দিয়ে কিছু দারিদ্র্য থেকে থাকবে, তাই ২০২৪ সাল ধরেছি।