আগামীকাল মুক্তি পেতে যাচ্ছে শাবনূর অভিনীত চলচ্চিত্র ‘পাগল মানুষ।’ এই ছবিতে শাবনূরের বিপরীতে অভিনয় করেছেন নতুন নায়ক শায়ের খান। এই ছবির মধ্য দিয়ে শায়ের খানের স্বপ্নপূরণ হতে যাচ্ছে। শাবনূরের মতো জনপ্রিয় অভিনেত্রীর বিপরীতে শায়ের খানকে অনেকেই চেনেন না। তাই তাঁকে ঘিরে রয়েছে অনেক কৌতুহল।
শায়ের খান বলেন, ‘শাবনূর ছিলেন আমার স্বপ্নের নায়িকা। প্রথম সিনেমায় তাকে নায়িকা হিসেবে পেয়েছি এটা আমার সৌভাগ্য।’ ২০১২ সালে শুরু হয়েছিলো ‘পাগল মানুষ’ সিনেমার কাজ। ছবিটির পরিচালক এম এম সরকারের মৃত্যুর কারণে পাগল নির্মাণকাজ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এরপর বদিউল আলম খোকনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছবিটি নির্মাণ শেষ হয়।
২০১২ সালে ক্যারিয়ারের শুরু হলেও শায়ের খান আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছেন ২০১৮ সালে এসে। ছোটবেলা থেকে সিনেমার নায়ক হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন তিনি। নায়ক হবার তীব্র ইচ্ছে তাকে আজ স্বপ্নপূরণের পথে নিয়ে এসেছে। সালমান শাহ-শাবনূর জুটি সিনেমাগুলো বেশি ভালো লাগতো শায়ের খানের। আর সেই শাবনূরের নায়ক হয়েই শায়ের খান পর্দায় আসছেন।
কীভাবে চলচ্চিত্রে এলেন? এই প্রসঙ্গে শায়ের খান কালের কণ্ঠকে বলেন, আমার বাড়ি যশোরে। শাবনূরের মামার সাথে আমার বড় ভাইয়ের ভালো সম্পর্ক। একদিন এই সম্পর্কের সূত্র ধরেই শাবনূর ম্যাডামের সাথে যোগাযোগ করি। তিনি প্রথম দর্শনেই আমার সাথে ছবি করার বিষয়ে রাজি হলেন। সেটাই ছিল আমার স্বপ্নপূরণের মুহূর্ত। অসম্ভব ভালো লাগার মুহূর্ত-সেটা বলে বোঝাতে পারবো না।
শায়ের খান নিজেকে চলচ্চিত্রের প্রথম সারির নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান। এজন্য চলচ্চিত্রে আসার আগেই ফাইট-ড্যান্স অনুশীলন শুরু করেছিলেন তিনি। বর্তমানেও নিজেকে অনেকটাই প্রস্তুত করেছেন বলে কালের কণ্ঠকে জানান।
শাবনূরের বিপরীতে অভিষিক্ত হতে চান, এজন্য ২০১২ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত অন্য কোনো ছবিতে কোনো কাজ করেননি। শায়ের বলেন, এখন একটা যৌথ প্রযোজনার ছবিতে প্রস্তাব পেয়েছি। আলোচনা চলছে। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামীতে যৌথ প্রযোজনার ছবির মাধ্যমে আমাকে দেখা যাবে।
শায়ের খান চলচ্চিত্রে কাজ করার পাশাপাশি আমদানি-রপ্তানির ব্যবসা করেন। ব্যবসার পাশাপাশি চলচ্চিত্রে পুরোপুরি মনোযোগ দিতে চান তিনি। ‘পাগল মানুষ’ ছবিটি প্রায় ৭০ টির মতো হলে মুক্তি পেতে যাচ্ছে।