মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করা ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই বলে জানিয়েছে আরাকান সলভেশন আর্মি-আরসা। নিজেদের সম্প্রদায়কে রক্ষা করার জন্য প্রতিরোধকেই একমাত্র হাতিয়ার বলে মনে করছে তারা।
আজ রোববার রোহিঙ্গাদের বিদ্রোহী সংগঠন আরসা রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর ওপর হামলার দায় স্বীকার করেছে। গত শুক্রবার একটি পাহাড়ি রাস্তায় সেনাদের একটি গাড়ির ওপর হামলায় আহত হয়েছে কয়েকজন সেনাসদস্য।
গত আগস্টে রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতা শুরু হওয়ার পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ওপর এটি প্রথম কোনো হামলা। সেনাবাহিনী বলেছে, ২০ জনের মতো রোহিঙ্গা মিলিশিয়া তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে হাতে তৈরি মাইন ও বন্দুক নিয়ে। এতে তাদের পাঁচ সেনা আহত হয়েছে। রোববার আরসার টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে এক পোস্টে হামলার দায় স্বীকার করা হয়েছে। তবে রাখাইনের উত্তরাঞ্চলীয় শহর মংডুতে সংঘটিত ওই হামলার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি। তবে সংগঠনটির নেতা আতাউল্লাহর স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা জন্য এ ছাড়া তাদের হাতে আর কোনো বিকল্প খোলা নেই।
আরসা জানায়, রোহিঙ্গাদের ওপর যা করা হচ্ছে, তা মিয়ানমারের সরকার সমর্থিত সন্ত্রাস। আরসা সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে তাদের এ আক্রমণের দায়িত্ব স্বীকার করার পাশাপাশি জানিয়েছে, তাদের এ ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।
আরসার নেতা আতাউল্লাহ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে টুইটারে। এতে তিনি লিখেছেন, ‘আরসার সামনে বার্মার রাষ্ট্র-সমর্থিত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা ছাড়া নিজেদের রক্ষা ও উদ্ধার করার অন্য কোনো উপায় নেই।’
আতাউল্লাহ বিবৃতিতে আরো লিখেছেন, রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যৎ মানবিক চাহিদা মেটানো ও রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণে অবশ্যই তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।
এর আগে গত বছরের আগস্ট মাস থেকে আরসা কয়েকটি সেনা ও পুলিশ ক্যাম্পে আক্রমণ করলে সহিংসতা শুরু হয়। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েই যাচ্ছে। জাতিসঙ্ঘ এই অভিযানকে জাতি নির্মূল আখ্যা দিয়েছে। বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। কিন্তু বাস্তবে রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমিতে ফিরে যাওয়ার বিষয়টি অনেকটাই অনিশ্চিত। আরসার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে ইসলামি সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে যোগ দিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার। তবে সে অভিযোগ অস্বীকার করেছে আরসা।