সরকারের মেয়াদের শেষ বছরে এসে মন্ত্রিপরিষদের দফতর বণ্টনে গত চার বছর ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা তারানা হালিমকে দফতর পরিবর্তন করে দেয়া হয়েছে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব।
মন্ত্রণালয় রদবদলের পর কয়েকটি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তারানা হালিম। এ সময় তিনি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে আক্ষেপ ও দুঃখ প্রকাশ করেন বলে বেশ কিছু গণমাধ্যমে খবরও প্রকাশিত হয়। এমনকি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের সময় দায়িত্বে না থাকা প্রসঙ্গেও নিজের কষ্টের কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রণালয় পরিবর্তনের পাঁচ দিন পর আজ রোববার নতুন অফিসে যোগ দেন তারানা হালিম। এরপর তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে কথা বলেন তিনি। এ সময় তার আগের বক্তব্যের ব্যাপারে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা।
জবাবে তারানা বলেন, ‘দু-একজন সাংবাদিক ওই সময় আমার সঙ্গে ওই ব্যাপারে কথা বলেছিলেন। আমার বক্তব্য খণ্ডিত আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট আগামী ২৭ থেকে ৩১ মার্চের মধ্যে উৎক্ষেপণ হবে। সেখানে এইটার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও তার আইসিটি উপদেষ্টার নির্দেশে অনেক কাজ করেছি। এখন প্রধানমন্ত্রী যদি একটা কাজ করেন, পরে খালেদা জিয়া যদি এসে সেটা বাতিল করেন, তাহলে তো স্বাভাবিকভাবেই কষ্ট লাগার কথা। আমি ওই ধরনের কিছু বলেছিলাম। আমাকে প্রধানমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী বানিয়েছেন। তিনি যেখানে কাজ করতে বলবেন, সেখানেই কাজ করব।’
এ সময় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর সঙ্গে এক পরিবারের সদস্য হিসেবে বর্তমান সরকারের জন্য কাজ করবেন বলে জানান তারানা।
তিনি বলেন, ‘ইনু ভাইয়ের সঙ্গে এক পরিবারের সদস্য হিসেবে সরকারের জন্য কাজ করব। প্রধানমন্ত্রী যেখানে যাবেন, সেখানেই কাজ করব।’
নিজের আগের দায়িত্ব সম্পর্কে তারানা বলেন, ‘আমি যখন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে ছিলাম, তখন মানুষের থ্রিজি সম্পর্কে কোনো ধারণা ছিল না। আমরা থ্রিজি থেকে ফোরজিতে পদার্পণ করেছি। বায়োমেট্রিক নিবন্ধন সম্পন্ন করেছি। ডাক বিভাগে সফলতা এনেছি। স্যাটেলাইট সম্পর্কে আমাদের দেশের মানুষের কোনো ধারণাই ছিল না। সেখানেও আমরা সফল হতে যাচ্ছি। এগুলো সবই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সজীব ওয়াজেদ জয়ের অবদানে। তাঁদের উৎসাহ ও সহযোগিতায় সফল হয়েছি।’
ব্রিফিংয়ে উপস্থিত তথ্যমন্ত্রী স্বাগত জানান তারানা হালিমকে। তিনি বলেন, ‘তার (তারানা হালিম) কাজের অনেক দক্ষতা-সফলতা আছে। আর এই দক্ষতা এখানেও তিনি কাজে লাগাবেন। আমরা এখানে একত্রে কাজ করে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখব।’