ভারত সীমান্তবর্তী নেপালের দক্ষিণাঞ্চলীয় তরাই অঞ্চলে দুই দিনে শৈত্য প্রবাহে নয়জন মারা গেছেন। প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় ওই এলাকার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শনিবার গণমাধ্যমে একথা বলা হয়েছে।
খবর সিনহুয়া’র।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় জমে সাপতারি জেলায় ছয়জন ও রাউতাহাট জেলায় তিনজন মারা গেছেন। এদের অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ।
গজেন্দ্র নারায়ণ সিংহ সাগরমাথা জোনাল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট রঞ্জিত কুমার ঝাঁ বলেন, ‘অসহনীয় ঠাণ্ডার কারণেই এদের মৃত্যু হয়েছে।’
তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র
তীব্র তুষারঝড়ে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলীয় রাজ্যগুলোর জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এতে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিরূপ আবহাওয়ায় বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত নিউ ইয়র্ক এবং নিউজার্সিসহ বিভিন্ন রাজ্যের চার হাজারের বেশি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। নতুন বছরের প্রথম প্রহরে শুরু হওয়া হাড় কাঁপানো শৈত্যপ্রবাহের অবনতি ঘটে বৃহস্পতিবার ভোরে। হিমাঙ্কের নিচে তাপমাত্রার সঙ্গে যোগ হয় ৫০ থেকে ৬০ মাইল বেড়ে প্রবাহিত তুষারঝড়, যাকে স্থানীয়ভাবে ‘বোমা সাইক্লোন’ বলা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাউথ ক্যারোলিনা, নর্থ ক্যারোলিনা, উইসকনসিন, মিসৌরি, মিশিগান, নর্থ ডেকোটা, ভার্জিনিয়া, ম্যারিল্যান্ড, ডিসি, পেনসিলভেনিয়া, দেলওয়ার, নিউজার্সি, কানেকটিকাট, ম্যাসাচুসেটস, রোড আইল্যান্ড, নিউ হ্যামশায়ার, ভারমন্ট, নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের প্রায় দেড় কোটি বাসিন্দা বৃহস্পতিবার সকাল থেকে একরকম গৃহবন্দী হয়ে পড়ে।
তীব্র ঠাণ্ডায় ১৭ জনের মৃত্যুর খবর দিয়ে ফেডারেল সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এর মধ্যে উইসকনসিনে ছয়জন, টেক্সাসে চারজন, নর্থ ক্যারোলিনায় তিনজন এবং মিসৌরি, মিশিগান ও নর্থ ডেকোটায় একজন করে মারা গেছেন। এসব এলাকায় ১২ ইঞ্চি থেকে ২৪ ইঞ্চি পর্যন্ত তুষারপাতের কথা জানিয়ে বৃহস্পতিবার রাতের জাতীয় আবহাওয়া বার্তায় বলা হয়, এ ছাড়া বোস্টন ও লং আইল্যান্ডের উপকূলীয় এলাকায় ১২ থেকে ১৫ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হয়েছে। গলে যাওয়া বরফের পানিতে ডুবে যায় বোস্টনের রাস্তা।
দুর্যোগের কারণে নিউ ইয়র্ক, বোস্টন, ফিলাডেলফিয়া, বাল্টিমোর, প্রভিডেন্স, রোড আইল্যান্ডসহ ১১টি শহরের সব স্কুলে বৃহস্পতিবার ছুটি ঘোষণা করা হয়। সরকারি অফিসে উপস্থিতির ওপর ছিল না কোনো বাধ্যবাধকতা। নিউ ইয়র্ক, নিউজার্সি, পেনসিলভেনিয়া, ম্যাসেচুসেটস ও কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। লোকজনকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দেন রাজ্য গভর্নরেরা। নিউ ইয়র্ক এবং নিউজার্সির বিভিন্ন এয়ারপোর্টের দুই হাজার ফ্লাইটসহ বোস্টন, ফিলাডেলফিয়া, ভার্জিনিয়া এলাকার চার হাজার ফ্লাইট বাতিল করতে হয় বলে জানান পোর্ট অথরিটির নির্বাহী পরিচালক রিক কটন। – রয়টার্স (৬ জানুয়ারি প্রকাশিত সংবাদ)