ঘুষ খাওয়া প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শিক্ষামন্ত্রীর অতীত বিষয়ক বক্তব্য ও তুলনাকে বর্তমানের কথা ধরে নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আফরাজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখ্যায় একথা বলা হয়।
এতে বলা হয়েছে, “প্রকাশিত সংবাদগুলোতে ডিআইএ’র অতীত বিষয়ক বক্তব্য বা তুলনাকে বর্তমানের কথা ধরে নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে; যা দুঃখজনক, বিভ্রান্তিকর ও শিক্ষামন্ত্রীর মূল বক্তব্যের বিপরীত এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বর্তমান নীতির পরিপন্থি।”
এর আগে রবিবার শিক্ষা ভবনে এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যের একটি ভিডিও ধরে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়, যাতে কর্মকর্তাদের ‘সহনশীল মাত্রায় ঘুষ খাওয়ার’ পরামর্শ রয়েছে।
প্রতিবেদনগুলো দেখে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় মনে করে প্রকাশিত সংবাদে ভুল বুঝাবুঝির অবকাশ রয়েছে। ২৪ ডিসেম্বর শিক্ষামন্ত্রী পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে ল্যাপটপ ও প্রশিক্ষণ সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এসময় বক্তৃতায় শিক্ষামন্ত্রী এ অধিদপ্তরের অতীতের আট বছর আগের উদাহরণ দিতে গিয়ে ডিআইএ’র কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির কথা তুলে ধরেন।।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘তিনি (মন্ত্রী) বলেন, বর্তমানে পিয়ার ইনস্পেকশন ও ডিজিটাল মনিটরিং ব্যবস্থা চালুর ফলে এ অবস্থার অনেক পরিবর্তন ও উন্নতি হয়েছে। ডিআইএ’র কর্মকর্তাদের কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি সহ্য করা হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, সম্প্রতি ডিআইএ’র একজন কর্মকর্তাকে দুর্নীতির প্রমাণসহ দুদকের সহায়তায় গ্রেফতার করা হয়েছে। মন্ত্রী ঘুষ-দুর্নীতি বিষয়ে ডিআইসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থার প্রতি জিরো টলারেন্স নীতি স্মরণ করিয়ে দেন।’