পটুয়াখালীর পায়রায় নির্মিত হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। বাংলাদেশ-চীন পাওয়ার কোম্পানির এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু হবে ২০১৯ সালে। সরকার বলছে, পরিচ্ছন্ন কয়লা প্রযুক্তিসম্পন্ন করায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি হবে পরিবেশবান্ধব।
টুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার পায়রায় এখন বেশ কর্মচাঞ্চল্য। সরকার এখানে বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য এক হাজার একর জমির উন্নয়ন করছে। এর মধ্যে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পটির কাজ ৩০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাদেশ-চীন পাওয়ার কোম্পানি এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। সরকার আশা করছে, ২০১৯ সালের এপ্রিলে কয়লাভিত্তিক এই কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের এই প্রকল্পে প্রায় ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার খরচ হবে। নয় হাজার মেগাওয়াটের যেটি করতে যাচ্ছে, সরকার সেই হিসেবে মোট বিনিয়োগ হবে প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার।
বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালিত হবে ইন্দোনেশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া থেকে আমদানি করা কয়লার মাধ্যমে। সে জন্য পায়রায় নির্মাণ করা হচ্ছে বড় কোলইয়ার্ড। আমদানি করা কয়লা সরাসরি পায়রাবন্দর হয়ে এই কোলইয়ার্ডে আসবে। কয়লাভিত্তিক হওয়ায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিবেশবান্ধব করার পরিকল্পনা সরকারের।
নসরুল হামিদ আরো বলেন, বাংলাদেশের সর্বাধুনিক পাওয়ার প্ল্যান্ট এখানে তারা করছে। আলট্রাসুপার ক্রিটিক্যাল প্ল্যান করা হচ্ছে। শকস অ্যান্ড নকসকে কন্ট্রোল করার জন্য ডি সালফারাইজেশন প্ল্যান বসানো হচ্ছে। কয়লা যেন ছড়িয়ে না যায়, সে ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে।
পায়রাবন্দরসংলগ্ন এই এক হাজার একর জমিতে পরে আরো একটি এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক, তিন হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের এলএনজিভিত্তিক এবং সৌর ও বায়ুভিত্তিক বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করবে সরকার।