Monday , 23 December 2024
সংবাদ শিরোনাম

শিক্ষকদের অনশন দ্বিতীয় দিনে, ১০ জন অসুস্থ

প্রাথমিক সরকারি শিক্ষক মহাজোটের ব্যানারে এই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া দশ জন শিক্ষক রোববার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন।

শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় এই অনশন কর্মসূচি শুরুর পর থেকে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণেই আছেন তারা। শিক্ষক মহাজোটের নেতারা বলছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের এই অনশন চলবে।

অসুস্থ শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমান, আবু তালেব, সালেহা আক্তার মুক্তা, রফিকুল ইসলাম, আব্দুর রহিম, এখলাসুর রহমান, ফিরোজ আলম, মো. আলাউদ্দিনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জাতীয় প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি ও বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমাজ নামে তিনটি সংগঠনসহ সম্মিলিতভাবে বাংলাদেশ প্রাথমিক সরকারি শিক্ষক মহাজোট ব্যানারে এই কর্মসূচির আয়োজন করে শিক্ষকরা।জাতীয় প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ফাউন্ডেশনের সভাপতি শাহীনুর আকতার বলেন, “প্রাথমিক শিক্ষকদের মধ্যে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বেতন বৈষম্য আছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পরের ধাপে নির্ধারণের দাবিতে আমাদের এই আন্দোলন। গত সাড়ে তিন বছর আন্দোলন করেও সমাধান না পাওয়ায় আমরা অনশনে বসেছি।”

বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি মো. আনিসুর রহমান  বলেন, শিক্ষাগত যোগ্যতা এক হওয়ার পরও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের ‘বেতনে বৈষম্য’ রয়েছে। ১৯৭৩ সালে থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত এটা ছিল না।

“এরপর থেকে ১৯৮৫ সালে এক ধাপ, ২০০৬ সালে দুই ধাপ এবং ২০১৪ সালে থেকে তিন ধাপের পার্থক্য তৈরি করা হয়েছে। এখন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বেতন পাচ্ছেন একাদশ গ্রেডে। আর আমাদের দেওয়া হচ্ছে চতুর্দশ গ্রেড।”

বর্তমান নিয়মে একজন প্রধান শিক্ষক বেতন স্কেলের দ্বাদশ গ্রেডে চাকরি শুরু করেন। আর সহকারী শিক্ষকরা সেই স্কেলে চাকরি শেষ করবেন।

“অর্থ্যাৎ ১৬ বছর চাকরি করার পর সহকারী শিক্ষকরা পাবে দ্বাদশ গ্রেডে ১১ হাজার ৩০০ টাকা, এটা অমানিবক।”

আনিসুর বলেন, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পরের ধাপ, অর্থাৎ দ্বাদশ গ্রেডে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের বেতন কাঠামো নির্ধারণের দাবিতে এই আমরণ অনশন কমর্সূচি তারা চালিয়ে যাবেন।

Share!

About newsfair

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top