আঃ কাইউম, মোড়েলগঞ্জ:
ধান কাটাকে কেন্দ্র করে আজ শুক্রবার ইং ২২/১২/২০১৭ তারিখ সকাল আনুমানিক ৯.৩০ টার সময় বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলার সোনাখালী গ্রামে দুইজন খুন হয় এবং ১০ থেকে ১২ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে এক জনের অবস্থা আশংকা জনক। ঘটনা স্থলে গিয়ে জানাযায়, বহুদিন ধরে সোনাখালী গ্রামের ঐ জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এই ব্যপারে ফয়সালার জন্য ৯নং বলইবুনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব আলহাজ্ব শাহ্জাহান আলী খানের কাছে এক আবেদন পত্র দেওয়া হয়। চেয়ারম্যান জনাব আলহাজ্ব শাহ্জাহান আলী খান মিমাংশার জন্য উভয় পক্ষকে জমির পানি শুকানো ও ধান পাকা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন। কিন্তু দ্বিতীয় পক্ষ মোঃ শহিদুল খান, পিতা- মৃত মফেজ উদ্দিন খান আজ সকালে ৪ ভাই সহ স্বদলবলে আট দশ জন লোক নিয়ে উক্ত জমির ধান কাটতে আসলে প্রথম পক্ষ চেয়ারম্যান সাহেবকে যানায়। চেয়ারম্যান সাহেব তার বিশ্বস্ত ও ৯নং বলইবুনিয়া ইউনিয়নের সাবেক যুবলীগ সভাপতি ও বর্তমান আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ কবির হোসেন কে বিষয়টি দেখার জন্য বলেন। মোঃ কবির হোসেন তার ছোট ভাই ৯নং বলইবুনিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের বর্তমান সাধারন সম্পাদক মোঃ আসাদকে নিয়ে ঘটনা স্থলে যান। তিনি সেখানে উপস্থিত হওয়ার সাথে সাথে মোঃ শহিদুল খান ও তার সহোযোগিরা তাদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি দেয় ও এক পর্যায় পূর্বথেকে প্রস্তুত করা দেশি অস্ত্র দা, ছুরি, রামদা ও বল্লম নিয়ে তাদের উপর হামলা করে। এতে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে সাথে সাথে ভ্যান চালক ইব্রাহিম হোসেন (৩৩) ও মটর সাইকেল চালক মোঃ পলাশ (৩২) নামের দুজন ঘটনাস্থলে মারা যান। এবং আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ কবির হোসেন গুরতর আহত হন। তাকে প্রথম মোড়েলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ কেন্দ্রে নেওয়া হয় এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বাগেরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে তাকে খুলনা মেডিকেলে নেওয়া হয়। তার অবস্থা আশংকা জনক। এছাড়া তার সাথে থাকা আরো আট দশ জন আহত হন। প্রত্যাক্ষ দর্শীরা জানায়, মোঃ শহিদুল খান, পিতা- মৃত মফেজ উদ্দিন খান ঢাকায় বসবাস করেন। তার নামে ঢাকার বিভিন্ন থানায় হত্যা মামলা সহ আরো অনেক ধরনের মমলা রয়েছে। তিনি একজন ভাড়াটিয়া খুনি হিসেবে কাজ করেন। তারা আগে থেকেই সকল দেশি অস্ত্র গুলি তাদের কাছে এনে রেখেছিল। চেয়ারম্যান সাহেব লোক পাঠালে, চেয়ারম্যান সাহেবের লোকজন ঘটনা স্থলে আসে এবং মোঃ শহিদুল খানকে জমি থেকে উঠে যেতে বলে। তারা বলে যে, চেয়রম্যান সাহেব আগামি ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে তোমাদের একটি ফয়সালা দিবেন। তাদের কথা না শুনে প্রথমে মোঃ শহিদুল খান এবং পরে তার চার ভাই সহ সহযোগীরা এসে চেয়ারম্যান সাহেবের লেকজনের উপর হামলা করে। এত দুই জনের মৃত্যু হয়। নিহতদের বুকে, পেটে, ও মাথায় ছুরি ও চাপাতির আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। আহত যুবলীগ নেতা মোঃ আসাদ বলেন, আমরা চেয়ারম্যান সাহেবের মারফৎ উক্ত স্থানে পৌছানোর পরে, আমরা জমিতে যাই এবং তাদেরকে শান্ত থাকতে বলি। কিন্তু তারা আমাদেরকে প্রথম পক্ষের লোক ভেবে আমাদের উপর হামলা করে। এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত লাশ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয় এবং মামলার প্রস্তুতি চলছে। এদিকে পুলিশের বাগেরহাট পুলিশ সুপার এর মাধ্যমে জানা যায় যে, আসামী পক্ষের মোঃ শহিদুল খান সহ পাঁচ জন পালিয়ে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে আটক হয়েছে। এলাকায় শোকের ছায়া বিরাজ করছে।