ময়মনসিংহ শহরের আকুয়া মিলনবাগ এলাকার একটি বাসায় অস্ত্র তৈরির মিনি কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে র্যাব। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে বিপুল অস্ত্রসহ দুই যুবককে আটক করা হয়েছে বলে র্যাবের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, এ সময় চারটি পিস্তল, সাত রাউন্ড গুলি ও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। আটক যুবক সোহেল (২২) ও বাহার (২৫) অস্ত্র তৈরির কারিগর বলেও দাবি র্যাব দাবি করেছে। তবে এরা কোনো উগ্রবাদী সংগঠনের সাথে জড়িত কী না, তা নিশ্চিত করা হয়নি।
র্যাব ১৪-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. শরীফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান, রাত দেড়টার দিকে ময়মনসিংহ শহরের নাসিরাবাদ কলেজ মাঠের পাশে মঈন উদ্দিন নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় র্যাব বাড়িটি ঘিরে ফেলে। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা বাড়ির ভেতর থেকে প্রথমে প্রতিরোধ ও পরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় র্যাবের হাতে দুজন ধরা পড়ে। বাড়ির মালিকের ছেলে নুরুদ্দিন পালিয়ে গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ওই বাড়ির ভেতর তল্লাশি চালায় র্যাব।
বিশেষভাবে তৈরি করা ওই বাড়ির ভেতর একটি গোপন কক্ষের সন্ধান পাওয়া যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা মইনুদ্দিনের বাসা ভাড়া নিয়ে অস্ত্র তৈরি ও বিক্রয়ের কথা স্বীকার করেছে বলে র্যাবের ওই কর্মকর্তা জানান।তিনি আরও বলেন, কক্ষটির চৌকির ওপর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে চারটি পিস্তল, সাত রাউন্ড গুলি, চারটি ম্যাগাজিন, আটটি চাকু, চারটি হাতুড়ি, একটি চায়নিজ কুড়াল, তিনটি প্লাস, দুটি ড্র্রিল মেশিন, কাটার, শাইন, একটি বাইশ এবং অস্ত্র তৈরির বিপুল সরঞ্জাম। কক্ষটি আধুনিক মডেলের অস্ত্র তৈরির মিনি কারখানা বলা যায় বলেও দাবি করেন তিনি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা মইনুদ্দিনের বাসা ভাড়া নিয়ে অস্ত্র তৈরি ও বিক্রয়ের কথা স্বীকার করেছে। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে আরো অনেক তথ্য পাওয়া যাবে। এদের সঙ্গে জড়িত অন্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে র্যাবের ওই কর্মকর্তা জানান। জঙ্গি সম্পৃক্ততার ব্যাপারে র্যাব কর্মকর্তা আরো জানান, আসলে এখন পর্যন্ত এ রকম কিছু জানা যায়নি। এটি তদন্তের বিষয়। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদে হয়তো অনেক তথ্য পাওয়া যাবে। এর সঙ্গে জড়িত অন্যদের ধরতেও অভিযান চলছে।