প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমানে বিদ্যুতের স্থাপিত ক্ষমতা প্রায় তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়ে ক্যাপটিভসহ ১৫ হাজার ৮২১ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আজ তাঁর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য মো. মামুনুর রশীদ কিরনের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকারের গত মেয়াদ অর্থাৎ ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২০১৭ সালের অক্টোবর মোট ৯ হাজার ২৫৪ মেগাওয়াট (বিদ্যুৎ আমদানিসহ) বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পরই বিদ্যুৎ খাতে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে তাৎক্ষণিক, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ পরিকল্পনার আওতায় ২০২১ সালের মধ্যে ‘সবার জন্য বিদ্যুৎ’ সুবিধা নিশ্চিত করতে উৎপাদন ক্ষমতা ২৪ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার কার্যক্রম চলছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে ২০০১ অক্টোবর থেকে ২০০৬ অক্টোবরে মোট ১ হাজার ২৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সংযোজিত হয়েছে, যা মূলত ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক গৃহীত উদ্যোগের ফসল। প্রকৃতপক্ষে ওই সময়ে দেশের সার্বিক বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়েনি বরং কমেছে।
তিনি বলেন, আগামীতে আরও বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপসমূহ নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে মোট ১২ হাজার ৩৬১ মেগাওয়াট ক্ষমতায় ৩৬টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ২০২৩ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, মোট ৭ হাজার ৩৭৪ মেগাওয়াট ক্ষমতায় ৪১টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য দরপত্র প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে।
তিনি বলেন, মোট ৯ হাজার ৪০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৪টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ পরিকল্পনাধীন রয়েছে। ভারত থেকে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এছাড়াও পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নতুন নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পাশাপাশি পরমাণু শক্তি নির্ভর বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের প্রাথমিক কার্যক্রম এবং আঞ্চলিক সহযোগিতার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ আমদানি কার্যক্রম সম্প্রসারণের উদ্যোগ অব্যাহত রাখা হবে।