অনলাইন ডেস্ক: যুক্তরাজ্যে কর্মস্থল বা শিক্ষাঙ্গনে বিভিন্ন বয়সী নারীর অর্ধেক এবং পুরুষদের এক-পঞ্চমাংশ যৌন হেনস্তার শিকার।
বিবিসির এক জরিপে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
হেনস্তার শিকার নারীদের মধ্যে ৬৩ শতাংশ বলেছেন, তাঁরা বিষয়টি কারো কাছে জানাননি। অন্যদিকে, হেনস্তার শিকার পুরুষদের ৭৯ শতাংশ বিষয়টি গোপন রেখেছেন।
বিবিসি রেডিও ৫ লাইভের হয়ে জরিপকারী সংস্থা কমরেস পোল জরিপের অংশ হিসেবে দুই হাজারের বেশি লোকের সঙ্গে কথা বলেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের চলচ্চিত্র প্রযোজক হার্ভি উইনস্টেইনের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ ওঠার পর যুক্তরাজ্যে ওই জরিপ চালায় বিবিসি। হার্ভির ওই ঘটনার পর থেকে ‘মি টু’ (আমিও) হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের নারী-পুরুষরা তাঁদের যৌন হেনস্তার শিকার হওয়ার গল্প বলেছেন, যাতে এই সমস্যার ব্যাপকতার চিত্র উঠে আসে।
উইনস্টেইনের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগকারী নারীদের মধ্যে রয়েছেন তিন অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি, গোইনেথ পালট্রো ও রোজ ম্যাকগোয়ান। তবে হলিউডের এই প্রযোজকের দাবি, পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে যৌন সম্পর্ক হয়েছে।
রেডিও ৫ লাইভের জরিপের অংশ হিসেবে প্রাপ্তবয়স্ক দুই হাজার ৩১ জন ব্রিটিশ নাগরিকের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে ৩৭ শতাংশ কর্মস্থল বা শিক্ষাঙ্গনে সরাসরি যৌন হেনস্তা কিংবা হেনস্তামূলক মন্তব্যের শিকার হওয়ার কথা জানিয়েছেন।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের এক-চতুর্থাংশের বেশি যুক্তরাজ্যের নাগরিক জানিয়েছেন, তাঁরা ঠাট্টাচ্ছলে হেনস্তার শিকার হয়েছেন। অন্যদিকে প্রতি সাতজনের একজন জানিয়েছেন, তাঁরা অস্বস্তিদায়ক স্পর্শের শিকার।
জরিপে আরো জানা যায়, অংশগ্রহণকারী নারীদের ১০ জনের মধ্যে একজনই যৌন হেনস্তার শিকার হয়েছেন।
যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক সারাহ কিলকয়েন বিবিসি নিউজকে জানান, তিনি কিশোরী থাকা অবস্থায় এক স্কুলশিক্ষক হেনস্তা করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অধ্যাপকের কাছে হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে তাঁকে।