জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) পেয়ারার বস্তা থেকে ১১২ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মীরা। এ সময় এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌরঙ্গী মোড়ে পেয়ারা বহনকারী একটি মোটরচালিত রিকশা তল্লাশি করে ফেনসিডিলগুলো উদ্ধার করা হয়।
আটক ব্যক্তির নাম রাজিবুল হোসেন। তিনি পেয়ারা বহনকারী রিকশাচালক।
নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা (প্রান্তিক) গেট থেকে ক্যাম্পাসের ভেতর দিয়ে রিকশায় করে তিনটি বস্তায় পেয়ারার সঙ্গে ফেনসিডিলগুলো নেওয়া হচ্ছিল পাশের ইসলামনগর বাজারে। নিরাপত্তা কর্মীদের তল্লাশির সময় সরে পড়েন পেয়ারার মালিক। রাত সোয়া ৯টার দিকে জব্দকৃত ফেনসিডিল ও আটক রিকশাচালককে পুলিশে দেওয়া হয়েছে।
আটক রিকশাচালক রাজিবুল হোসেন জানান, পেয়ারার সঙ্গে ফেনসিডিল আছে, তা তিনি জানতেন না। প্রান্তিক গেট থেকে পেয়ারাগুলো ইসলামনগরে নিয়ে আসার জন্য ইসলামনগর বাজারের কাপড়ের দোকানদার নয়ন তাঁকে নিয়ে আসেন।
রাজিবুল আরো জানান, প্রান্তিক গেট থেকে পেয়ারা আনার সময় তাঁর সঙ্গে নয়নও ছিলেন। চৌরঙ্গী মোড়ে এলে নিরাপত্তা কর্মীরা রিকশা থামায় এবং তল্লাশি করে পেয়ারার ভেতর থেকে ফেনসিডিলগুলো পায়। তল্লাশি শুরু করলে নয়ন সরে পড়ে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে মোটরচালিত রিকশা নিষিদ্ধ থাকায় সন্ধ্যায় (গতকাল) আমরা তিনটি রিকশা আটক করি। এর মধ্যে একটি রিকশায় তিন বস্তা মালামাল ছিল। ওই রিকশা আটক করার পর ছেড়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি সুপারিশ শুরু করে। এতে মালামাল সম্পর্কে সন্দেহ হয় আমাদের। বস্তা খুলে তল্লাশি করে পেয়ারার ভেতর থেকে ১১২ বোতল ফেনসিডিল পাই। পরে পুলিশকে জানানো হয়।’
সুদীপ্ত শাহীন আরো জানান, ফেনসিডিলের বস্তা রেখে পালিয়ে যাওয়া নয়নের বাবা সাইফুল আহমেদ ফারুক আগে থেকেই তাঁদের সন্দেহের তালিকায় ছিল। গত রমজানে সন্দেহজনক একটি ব্যাগসহ তাঁকে ক্যাম্পাসে আটক করা হয়েছিল। পরে বিভিন্ন ব্যক্তির চাপে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। আর গতকাল রাতে ফেনসিডিলসহ আটক রিকশা চালককেও এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে চুরির অপরাধে আটক করা হয়েছিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কে এম মনিরুজ্জামান বলেন, ‘ফেনসিডিল আটকের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করবে। জড়িতদের শনাক্ত করা কঠিন হবে না। তাদের আটক করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।