ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ভাষ্য
প্রধান বিচারপতির ব্যক্তিগত বিষয় দেখা করা-না করা
স্টফ রিপোর্টার: ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা বলেছেন, প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহা তাঁর নিজ বাসভবনে আছেন। তাঁর বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালত সচেতন। তিনি কারো সঙ্গে দেখা করবেন, নাকি করবেন না সেটা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে নিজ দপ্তরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নেতাদের কাছে এমন অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। সকালে এস কে সিনহার বিষয়ে খোঁজ নিতে যান সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীনসহ জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা। অন্যদের মধ্যে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, সাবেক বিচারপতি খাদেমুল ইসলাম, সাবেক বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী, আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী, এ জে মোহাম্মদ আলী প্রমুখ। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করে একটি লিখিত আবেদন করেন জয়নুল আবেদীন। এতে বলা হয়, তাঁরা সংবাদ মাধ্যমে জানতে পেরেছেন, প্রধান বিচারপতি অসুস্থতাজনিত কারণে ছুটিতে গিয়েছেন। এর পর ২ অক্টোবর তাঁর বাসভবনে দেখা করার জন্য গেলে তিনি (প্রধান বিচারপতি) তাঁদের জানিয়ে ছিলেন, তিনি সুস্থ আছেন, কিন্তু দেখা করতে পারবেন না। এমন বাস্তবতায় সারা দেশের মানুষের মতো বিষয়টি নিয়ে আইন জীবীরাও উদ্বিগ্ন। জবাবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মৌখিকভাবে প্রধান বিচারপতির সর্বশেষ অবস্থার বিষয়ে আইন জীবীদের অবহিত করেন। তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত আছি, প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা তাঁর বাসভবনে আছেন। আমরা সব রকমের খোঁজ নিয়েছি এবং এ বিষয়ে সচেতন আছি। বক্তব্যের একপর্যায়ে জয়নুল আবেদীনের কাছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি জানতে চান, বিষয়টি ১০৩ অনুচ্ছেদে পড়ে কি না। জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘আমরা কী বলতে চাই, সেটা শুনুন। সর্বোচ্চ আদালত সংবিধানের অভিভাবক। সে কারণে আমরা আপনাদের কাছে এসেছি। মইনুল হোসেন বলেন, বিষয়টি উদ্বেগের। এর সঙ্গে বিচার বিভাগ সম্পর্কিত। জবাবে আদালত বলেন, ‘আমরা আইনের দ্বারা সীমাবদ্ধ। আমরা জেনেছি যে প্রধান বিচারপতি অসুস্থতাজনিত কারণে ছুটি নিয়েছেন। আমি জ্যেষ্ঠ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আপনাদের সঙ্গে দেখা করবে কি না, এটা একান্তই উনার ব্যক্তিগত বিষয়। এ পর্যায়ে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন আদালতে বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে তিনি অসুস্থ। এ সময় আদালত বলেন, ‘আপনারা আপনাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। আপনারা চেম্বারে আসতে পারেন। এটা কোর্টের বিষয় নয় তো। বিষয়টি শুনলাম, আমরা চিন্তা করব।