স্বামীর হাতে স্ত্রী হত্যা -না – আত্মহত্যা ??
স্টফ রিপোটার: স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্যের জের ধরে নওগাঁর মহাদেবপুরে এক নারী আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত নারীর নাম সোহানা আকতার মিতু (৪০)। তিনি মহাদেবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুস সাত্তার নান্নুর স্ত্রী। মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, গতকাল রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সোহানা আকতারের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা হয়েছে। মৃতদেহের প্রাথমিক সুরতহালে গলায় লালচে দাগ পাওয়া গেছে বলে জানান ওসি। আজ সোমবার মিতুর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) দেবাশিস বিশ্বাস জানান, গত রাত ১১টার দিকে পরিবার লোকজন ওই নারীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরীক্ষা করে দেখা যায়, হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা গেছেন। মিতুর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, প্রায় ১৫ বছর আগে মহাদেবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুস সাত্তারের সঙ্গে মান্দা উপজেলার সদর ইউনিয়নের শাহাপুর গ্রামের সোহানা আকতার মিতুর বিয়ে হয়। তাঁদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়েসন্তান রয়েছে। ছেলেটি শ্রবণপ্রতিবন্ধী। এই দম্পতি মহাদেবপুর উপজেলা সদরের দুলালপাড়ায় বাস করতেন। স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন দাবি করে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুস সাত্তার নান্নু বলেন, ‘গতকাল সন্ধ্যায় আমার স্ত্রীর সঙ্গে একটি বিষয় নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। বিষয়টি নিয়ে আমাদের দুজনের মধ্যে একটু মনোমালিন্যও হয়। পরে আবার ঠিকও হয়ে যায়। রাতের খাবার পরিবারের সবাই একসঙ্গে খাই। রাত ১১টার দিকে শোবার ঘরে ঢুকতে গিয়ে দেখি দরজা ভেতর থেকে আটকানো। বাইরে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করি। ভেতরে ঢুকে আমার স্ত্রীকে ঘরের ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই। পরে সেখান থেকে তাঁকে নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাই।’
তবে কী বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয় এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নান্নু কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
এমনকি বিষয়টি নিয়ে মিতুর বড় ভাই আবদুল হাকিমের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনিও কোনো মন্তব্য করতে চাননি।