হুঁশিয়ারি, পাল্টা হুঁশিয়ারির পালা লেগেই রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আমেরিকার মধ্যে। গতকাল শুক্রবার সেই আগুনে আরো ঘি পড়ল।
ট্রাম্পের ধ্বংস করার হুমকির পরিপ্রক্ষিতে আমেরিকাকে জব্দ করতে এবার প্রশান্ত মহাসাগরের ওপর হাইড্রোজেন বোমা ফাটাবে বলে ঘোষণা দিল পিয়ংইয়ংয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। স্পষ্ট বার্তায় উত্তর কোরিয়া জানিয়ে দিয়েছে, এবার তাদের পদক্ষেপ ইতিহাসে লেখা থাকবে।
চলতি মাসের সেপ্টেম্বরেই হাইড্রোজেন বোমা পরীক্ষা করে এক প্রকার গোটা বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছে কিম জং-উন। জাতিসংঘসহ বিশ্বের শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোকে বেপাত্তা দিয়ে পর পর দুইবার জাপানের ওপর দিয়ে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে তারা। এরপরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে জাতিসংঘে তাঁর প্রথম বক্তৃতায় কিমকে ‘শেষ হুঁশিয়ারি’ দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। উত্তর কোরিয়াকে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। তবে তাতেও ভয় পায়নি উত্তর কোরিয়া। তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রি অং-হো জানিয়েছেন, পরবর্তী সময় আরো শক্তিশালী হাইড্রোজেন বোমা পরীক্ষা করা হবে প্রশান্ত মহাসাগরের ওপর।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের দাবি, ষষ্ঠ পরমাণু বিস্ফোরণের মাত্রা গত পরীক্ষার থেকে ৯.৮ গুণ বেশি।
যা এক মুহূর্তে উড়িয়ে দিতে পারে হিরোশিমা-নাগাসাকিতে নিক্ষেপ করা পরমাণু বোমাকে। উত্তর কোরিয়ার ভূখণ্ড থেকে প্রবল কম্পন ছড়িয়ে পড়তেই আশঙ্কিত হয় দক্ষিণ কোরিয়া, জাপানসহ প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ।
জাপান সরকারের দাবি, সাম্প্রতিক সময়ে সব থেকে বড় পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে উত্তর কোরিয়া সরকার। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা বলছে, উত্তর কোরিয়ার ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার মাঝারি আকারের কম্পন সৃষ্টি হয়েছে। এই কম্পন ভূমিকম্প নাকি অন্য কোনো কারণে সৃষ্ট তা এখনো জানা যায়নি।
কিছুদিন আগেই জাপানের ওপর দিয়ে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল উত্তর কোরিয়া। জানা যায়, যার আসল লক্ষ্য ছিল প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন এলাকা গুয়াম। এরপরই উত্তর কোরিয়াকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গুয়ামে রীতিমতো সেনাবাহিনী প্রস্তুত রেখেছে আমেরিকা।