র্যাম্প মডেল থেকে জঙ্গি কমান্ডার মেহেদী হাসান
এ,কে,এম শফিকুল ইসলামঃ রাজধানীর খিলগাঁওয়ের দক্ষিণ বনশ্রী এলাকা থেকে আটককৃত জঙ্গি কমান্ডার ইমাম মেহেদী হাসান ওরফে জিব্রিল আগে র্যাম্প মডেল হিসেবে কাজ করতেন বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব)। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে র্যাব-৩ এর সদস্যরা তাকে আটক করে বলে বৃহস্পতিবার কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে।
র্যাব-৩-এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ বলেন, মেহেদী হাসানের বাবার নাম খোরশেদ আলম। তার বাড়ি পটুয়াখালির বাউফলের রাজাপুরে, তিনি দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটিতে পড়াশুনা করেছেন। বিবিএ সম্পন্ন করার পর কিছুদিন র্যাম্প মডেল হিসেবে কাজ করেন। ২০১৫ সালে জেএমবির সারোয়ার-তামিম গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত হন।
এ গ্রুপের দুটি অপারেশন ব্রিগেড রয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি জানান, একটি ‘বদর স্কোয়াড ব্রিগেড’ ও অন্যটি ‘ব্রিগেড আদ্-দার-ই-কুতনী’। এর মধ্যে মেহেদী ‘ব্রিগেড আদ্-দার-ই-কুতনীর’ কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ব্রিগেডটি বদর স্কোয়াডের ব্যাকআপ হিসেবে কাজ করতো।
তিনি আরও বলেন, গুলশানের হলি আর্টিজান রোস্তোরাঁয় হামলা ও বিভিন্ন জঙ্গি অভিযানে বদর স্কোয়াডের বেশির ভাগ সদস্য নিহত ও আটক হওয়ার পর ব্রিগেডটি দুর্বল হয়ে যায়। পরবর্তীতে ব্যাকআপ ব্রিগেড হিসেবে থাকা ‘ব্রিগেড আদ্-দার-ই-কুতনীর’।
র্যাবের সিও বলেন, তারা ঢাকা-টাঙ্গাইল-রাজশাহীসহ বিভিন্ন জেলায় সদস্য সংগ্রহ ও শক্তি সঞ্চয়ের কাজ শুরু করে। মেহেদী এসব সদস্যদের আনুগত্য পরীক্ষার জন্য শপথ (বাইয়াত) পাঠ করাতো। আর এর ভিডিও ধারণ করে তাদের চ্যানেলগুলোতে পাঠাতো।
মাসুদ বলেন, সারোয়ার-তমিম গ্রুপের উচ্চ ও নিম্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে মেহেদীর যোগাযোগ ছিল। তার সঙ্গে বাংলাদেশি প্রবাসীদেরও যোগাযোগ ছিল। তার মাধ্যমে অনেক সময় জঙ্গিবাদের অর্থ এসেছে বলে জানতে পেরেছি।