আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রোহিঙ্গা ইস্যু ভিন্ন খাতে নিতে মিয়ানমার সেনাবাহিনী বাংলাদেশকে সাংঘর্ষিক বিরোধে জড়ানোর উস্কানি দিচ্ছে বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। প্রতিদিনই মিয়ানমারের হেলিকপ্টার বাংলাদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন করছে। আর বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যবেক্ষণের জন্য ওড়ানো হচ্ছে ড্রোন। তবে সংঘাতে জড়ানোর পরিবর্তে ক্ষমতাশালী রাষ্ট্রগুলোকে নিয়ে কূটনীতিকভাবে মিয়ানমারকে জবাব দেয়ার পরামর্শ রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক চাপের মুখে রয়েছে মিয়ানমার সরকার। বিশেষ করে জাতিসংঘ মিয়ানমারের বিপক্ষে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এ পরিস্থিতিকে ভিন্ন খাতে নিতে গত কয়েকদিন ধরে সীমান্তে উস্কানিমূলক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে মিয়ানমার বাহিনী। মিয়ানমার সরকার সাংঘর্ষিক বিরোধের পরিস্থিতি সৃষ্টি করে এর পুরো দায় বাংলাদেশের ওপর চাপানোর অপচেষ্টা করছে বলে অভিযোগ স্থানীয় প্রশাসনের।
মিয়ানমারের হেলিকপ্টারের বাংলাদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন, সীমান্ত ঘেঁষে টহল এবং মাইন স্থাপন, সে সাথে ড্রোন ব্যবহারকে সাংঘর্ষিক বিরোধে জড়ানোর উস্কানি হিসেবেই দেখছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। আর মিয়ানমারের ফাঁদে পা না দিয়ে বাংলাদেশকে কূটনৈতিকভাবে আন্তর্জাতিক জনমত সৃষ্টির পরামর্শ রাষ্ট্র বিজ্ঞানীদের বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনী, বিজিবি মিয়ানমারের উস্কানির পাল্টা জবাব না দিলেও সীমান্তের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। উপজেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের সীমান্ত ঘেঁষে অন্তত ৯টি পয়েন্টে এক হাজারের বেশি মাইন স্থাপন করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।