রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়ে দেশ-বিদেশের বহু স্থান থেকে ত্রাণ নিয়ে আসছেন অনেকে। তবে প্রশাসন কোন নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করে না দেয়ায় ত্রাণ বিতরণে বিরাজ করছে বিশৃঙ্খলা। ফলে ত্রাণের জন্য রাস্তায় নেমে পড়েছে রোহিঙ্গারা। আর হুড়োহুড়ি করে ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। তবে ত্রাণ বিতরণে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনসহ নানা পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গত কয়কে সপ্তাহ ধরেই কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের কুতুপালং থেকে দমদমিয়া পর্যন্ত প্রায় ৪০ কিলোমিটারর সড়ক জুড়ে চলছে বিচ্ছিন্ন ত্রাণ তৎপরতা। বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের ব্যানারে ট্রাক, পিকআপসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে নির্যাতনের শিকার হয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে ত্রাণ সামগ্রী।
ত্রাণবাহী কোন গাড়ি দেখলেইে তা সংগ্রহ করতে হুড়োহুড়ি করে রাস্তার দু’পাশে ছুটে যাচ্ছেন রোহিঙ্গারা। ক্ষুধা সহ্য করতে না পেরে রাস্তায় নেমে আসেন বলে জানিয়েছেন তারা।
যত্রতত্র ত্রাণ বিতরণ বন্ধ করতে প্রশাসনরে পক্ষ থেকে বিভিন্ন বিধি নিষেধ জারি করা হলেও সমন্বয়ের অভাবে তা কাজে আসছেনা বলে অভিযোগ ত্রাণ দিতে আসা ব্যক্তি ও সংগঠনরে।
এতে ত্রাণ বিতরণে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাশাপাশি নানা দুর্ঘটনা ঘটছে বলে দাবি তাদের।
তবে ত্রাণ বিতরণে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়ার দাবি করেছে পুলিশ।
উখিয়া থানা, কক্সবাজার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মোহাম্মদ কায় কিসলু বলেন, ‘ক্যাম্প এলাকার ভিতরে না যেতে পারার জন্য ৩টি রাস্তা নির্মাণের জন্য কার্যক্রম চলছে। এটি হয়ে গেলে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’
গত সপ্তাহে রাস্তায় ত্রাণ নিতে এসে গাড়ি চাপায় মৃত্যু হয়েছে এক রোহিঙ্গা শিশু সহ দুজনের। আর আহত হয়েছে শতাধিক ব্যক্তি। শুক্রবার পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের ব্যানারে ত্রাণ বিতরণ করেছে। সাত শতাধিক পরিবহন।