বাবার যৌন লালসা মেটাতে শরীর খুঁজে দিত বিষকন্যারা
অপরাধ জগতের যত কাণ্ড তার যেন সবই ধর্মীয় ভণ্ড পীর রাম রহিমের ডেরায় হতো। ধর্মকে আশ্রয় করে নানা অপকর্ম তিনি চালিয়ে গেছেন অবলীলায়। বিস্ফোরক, নিজস্ব মুদ্রা, যৌন গুহার সন্ধান ও গর্ভপাতের প্রমাণের পর এবার পাওয়া গেল আরেক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই ভণ্ড ধর্মগুরুর যৌন চাহিদা মেটানোর জন্য নারী শরীরের যোগান দিত তারই তৈরি করা বিশেষ দেহরক্ষী বাহিনির বিষকন্যারা।
নিজের ডেরায় অপরাধের স্বর্গরাজ্য তৈরি করেছিল ভণ্ড ধর্মগুরু। আর এই সাম্রাজ্যে রাজত্ব করার জন্য রাম রহিম তৈরি করেছিল মহিলা গুণ্ডাবাহিনী। এক সময় যে সমস্ত মহিলারা গুরমিতের যৌন লালসার শিকার হত তাদের মধ্যে থেকেই বেছে নেয়া হত এই বিশেষ দেহরক্ষীদের। যাদের বলা হত বিষকন্যা।
মায়া-মমতা কোনও কিছুই নাকি ছিল না রাম রহিমের এই গুণ্ডাবাহিনীর। রীতিমতো মগজ ধোলাই করা হত এদের। বোঝানো হত ঈশ্বরের দূত রাম রহিমের ইচ্ছে পূরণের জন্যই এদের জন্ম হয়েছে। এদের কাজ ছিল, ডেরায় আসা মহিলা ও কিশোরীদের মধ্যে থেকে সুন্দরীদের বেছে নেয়া। তারপর তাদের তুলে এনে ভণ্ড বাবার বিছানায় ফেলে দেয়া। যুবতী ও কিশোরীদের আর্ত চিৎকারেও মন গলত না এই মহিলা দেহরক্ষীদের। ভাবলেশহীনভাবে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকত তারা। মাঝে মধ্যে নাকি গুরুর ইচ্ছেমতো তার শয্যাসঙ্গীও হত।
রাম রহিম গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই সাহস করে মুখ খুলতে শুরু করেছেন তার অনেক প্রাক্তন অনুরাগী। এদের মধ্যে কেউ কেউ আবার নিজেও ভুক্তভোগী। ধর্ষক বাবার এক প্রাক্তন মহিলা দেহরক্ষীর কথায়, প্রত্যেকদিন রাতে রাম রহিমের যৌন লালসা চরিতার্থ করার জন্য নতুন নতুন শরীরের প্রয়োজন হত। সেই চাহিদা মেটাত এই বিষকন্যারা। আর বাবার ইচ্ছে পূরণ না করতে পারলে বিষকন্যাদেরই নিজেদের শরীর দিয়ে তার মূল্য চোকাতে হত। গুরমিতের গুহার বিষয়ে বাইরে মুখ বন্ধ রাখতে হত। এই বিষয়টিও খেয়াল রাখত বিষকন্যারাই।
রাম রহিমকে আটকের পর তার ডেরায় সার্চ অপারেশন চালিয়ে ছিলেন গোয়েন্দারা। তখন সেখানে পাওয়া গেছে রাশি রাশি কন্ডোম ও আপত্তিকর জিনিসপত্র। অবৈধভাবে চালানো হাসপাতালে বৈআইনি গর্ভপাত করানো হত বলেও অনুমান গোয়েন্দাদের। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।