জাবির ৫ ছাত্রের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ৫ ছাত্রের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়েরই আরেক জ্যেষ্ঠ ছাত্র।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভুক্তভোগী ছাত্র মাসুদ পারভেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ৪৩তম ব্যাচের ছাত্র।
প্রক্টরের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র মাহাবুব শান্ত, ইতিহাস বিভাগের অরবিন্দ ভৌমিক, নাটক ও নাট্যতত্ত¡ বিভাগের দ্বীপ বিশ্বাস, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সজিবুল উৎপল ও ইংরেজি বিভাগের ডিউক রায়ের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে। এই ৫ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬তম ব্যাচের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক ছাত্র। এদের মধ্যে উৎপল ও মাহাবুব বিশ্ববিদ্যালয়ের পোষ্য কোটার শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় বাসিন্দা।
জানা যায়, গত ৪ সেপ্টেম্বর সোমবার মাসুদ তার চাচাতো বোন ও এক বন্ধুকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে আসেন। তখন কয়েকজন শিক্ষার্থী মাসুদের বন্ধুকে মারধর করে। এ সময় মাসুদ সেখানে তার বিভাগের ছাত্র সজিবুল উৎপলকে দেখতে পান। সজিবুল মাসুদকে আড়ালে ডেকে নিয়ে বলে- ‘ভাই আপনি এখান থেকে চলে যান। তারা পলিটিক্যাল। আপনাকেও মারতে পারে।’
এরমধ্যে অন্যরা মাসুদের বন্ধুকে মারতে মারতে কলেজ মাঠে নিয়ে যায় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তার নাম ভাঙ্গিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। কিন্তু টাকা না দেয়ায় তার বন্ধুর মানিব্যাগ, মোবাইল, ঘড়ি কেড়ে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে পালিয়ে যায়। পরে মাসুদ তার বিভাগের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সহায়তায় ছিনতাই ও মারধরকারীদের পরিচয় পান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সজিবুল উৎপল বলেন, ‘আমি পাশে ছিলাম। দেখেছি তারা মাসুদ ভাইয়ের বন্ধুকে মেরেছে।’ তবে ছিনতাইয়ের বিষয়ে কিছু জানেনা বলে দাবি করেছেন উৎপল। বক্তব্য জানতে অভিযুক্ত অন্য ছাত্রদের সঙ্গে নানাভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদিপ্ত শাহীন বলেন, ‘অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা আমার কাছে ছিনতাইয়ের কথা শিকার করেছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।