কারা কারা ষড়যন্ত্রের কলকাটি নাড়ে, সব জানি:ওবায়দুল কাদের
এ,কে,এম শফিকুল ইসলামঃ বিএনপি সরকার হটানোর ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘আন্দোলন করার মুরোদ নেই, আর বসে বসে; সব জানি আমরা। কারা কারা যাচ্ছে, কী আলাপ হচ্ছে; লন্ডনের খবর, দুবাইয়ের খবর, ব্যাংককের খবর, কী শলা-পরামর্শ হচ্ছে, কোন কোন পথ খোঁজা হচ্ছে শেখ হাসিনার সরকারকে হটানোর জন্য- সেই খবর এই তথ্য প্রবাহের যুগে গোপন থাকে না। আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের শোক দিবসের আলোচনা সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, ‘সব জানি আমরা। কারা কারা ষড়যন্ত্রের কলকাটি নাড়ে, সব জানি। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শোক দিবসে জন্মদিন পালনের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনগণের রুদ্ররোষে তাদের কেক কাটার উৎসব পণ্ড হয়ে গেছে এবার। বন্যার কারণ দেখিয়ে জনরোষের মুখে কেক না কাটলেও সুযোগ পেলে যে কাটতেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ওবায়দুল কাদের বলেন, একজনের কয়টা জন্মদিন থাকে? পরীক্ষা, বিবাহ, পাসপোর্ট মিলিয়ে কেন পাঁচটা ভুয়া জন্মদিন? আমাদের হৃদয়ে, অনুভূতিতে আঘাত করতে? আমাদের উপহাস করার জন্য? তাদের সঙ্গে আমরা সংলাপে বসব? আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি বিদ্বেষ নিয়ে রাজনীতি করছে। ১৫ আগস্ট শেখ হাসিনা কেন মরলেন না সেটি তাদের বড় কষ্ট। সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, গর্ত থেকে বেরিয়ে তাঁরা লাফালাফি করেছিলেন। কিন্তু এখন বুঝে গেছেন যে, ক্ষমতায় যাওয়ার রঙিন খোয়াব কর্পূরের মতো উবে গেছে। হাফিজ সাহেব, মামাবাড়ির আবদার করেন? সংসদকে অবৈধ রায় দিয়ে আরেকটা উপকার করার? কয়েকদিন পর আপনারা আরেক কাঠি এগিয়ে গিয়ে বলবেন ‘সুয়োমোটো’ দিয়ে আপনাদের হারানো ময়ুর সিংহাসনে বসিয়ে দিতে। ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ‘বিএনপি বদলায়নি। তাঁরা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে চায়। কারণ এবার পার্টিসিপল, ক্রেডিবল, ফ্রি এবং ফেয়ার নির্বাচন হবে। সে নির্বাচনে জিততে পারবে না দেখেই ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি। যুবলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রস্তুত হয়ে যান, এরা আবার ক্ষমতায় এলে ২০০১ সালের চেয়েও ভয়ংকর অবস্থা ফিরে আসবে। কিন্তু নির্বাচনে জিতে তাঁরা ক্ষমতায় আসতে পারবে না। কারণ জামায়াত না থাকলে ভোটকেন্দ্রেও বিএনপির লোক থাকত না। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী।